ব্র্যাক ব্যাংকের প্রথম সাস্টেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ
সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৩-১২-১৪ ১৯:৩৪:০৫
ব্র্যাক ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রথম সাস্টেইনেবিলিটি রিপোর্ট বা টেকসই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে টেকসই ভবিষ্যতের প্রতি ব্যাংকটির অবদান, অবস্থান ও অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
বিশ্বের সবচাইতে বহুল ব্যবহৃত ও স্বীকৃত গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করে, পরিবেশ, সমাজ এবং সুশাসনের (ইএসজি) পরিমাপে ব্যাংকের কর্মকান্ডের প্রভাবের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে রিপোর্টটি প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি টেকসইতার লক্ষ্যে ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলও রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান হয়।
রিপোর্টে ২০২২ সালে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ডিজিটাল রূপান্তরসহ ব্যবসায় সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব কমাতে ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং ব্যাংকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় ঘিরে নেওয়া দীর্ঘমেয়াদী কৌশলকে পরিচালনা করে, এমন শাসন কাঠামোর বিবরণও রয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও, সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন, ব্যাংকের প্রথম সাস্টেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশের জন্য তাঁর সহকর্মীদের প্রশংসা করেন। একই সাথে তিনি সুস্পষ্ট এবং উন্নয়নশীল কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসইতার ওপর ব্যাংকের মনোযোগ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, “এই রিপোর্টটি মূল্যবোধ-নির্ভর, দায়িত্বশীল এবং টেকসই ব্যাংকিং চর্চার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। টেকসইতার লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময়ই সামাজিক এবং পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।
প্রথম সাস্টেইনেবিলিটি রিপোর্টটি টেকসইতার প্রতি ব্যাংকের তিনটি স্তম্ভকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে; এগুলো হলো – মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংকিং চর্চার প্রতিশ্রুতি, টেকসইতার সাথে মুনাফার ভারসাম্য বজায় রাখার অঙ্গীকার এবং নিজেদের কেবল ব্যাংকিং কার্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারে কাজ করা।
ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, চিফ অপারেটিং অফিসার এবং সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারপারসন, সাব্বির হোসেন বলেন, “আমাদের ইএসজি এজেন্ডা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। টেকসইতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম কতটা স্থিতিস্থাপক, তা আমরা নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করছি। এরই প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের তথ্যভান্ডার শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। একই সাথে টেকসই ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং প্রশমন পরিকল্পনা বিকাশের জন্য আমরা সক্রিয়ভাবে ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করছি”।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের স্টেকহোল্ডারদের কাছে কতটা স্বচ্ছ এবং কার্যকরভাবে আমাদের কার্যক্রম তুলে ধরছি, তার উপর আমাদের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে। প্রথম সাস্টেইনেবিলিটি রিপোর্টে আমরা ব্যাংকের বিভিন্ন অর্জন এবং প্রচেষ্টার জন্য একটি স্বচ্ছ এবং নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স তৈরি করার চেষ্টা করেছি যাতে করে টেকসইতার মাপকাঠি নির্ধারণ করে আমাদের সমস্ত অপারেশনে আমরা মানোন্নয়ন করতে পারি”।
এএ