বিশ্ববাজারে ৭ শতাংশ বেড়েছে চালের দাম
সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৩-১২-৩০ ০৯:৫৩:০৮
বৈশ্বিক বাজারে নভেম্বরে ৭-৮ শতাংশ বেড়েছে চালের দাম। এর মধ্য দিয়ে ১৫ বছরের ইতিহাসে খাদ্যপণ্যটির দাম সর্বোচ্চে উঠেছে। উচ্চ চাহিদা ও সীমিত সরবরাহ এ মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা বলছেন, চাল উৎপাদন মৌসুম শেষ হওয়াও মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণগুলোর একটি। খবর দ্য হিন্দু বিজনেস পোস্ট।
এ বিষয়ে বাণিজ্য বিশ্লেষক এস চন্দ্রশেকারন বলেছেন, ‘বিশ্ববাজারে চাল সরবরাহ কমেছে। কিন্ত চাহিদা বেড়েছে। ভারত সাদা ও ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। ফলে বিশ্ববাজারে অন্তত ১ কোটি ৬০ লাখ টন চালের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা পুরো বছরের চাল বাণিজ্যের এক-তৃতীয়াংশ।’ কয়েক সপ্তাহ ধরে আধা সেদ্ধ চাল রফতানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে উল্লেখ করে চন্দ্রশেখরন বলেন, ‘এমনকি বাসমতি চাল রফতানিও হঠাৎ বেড়েছে।’
ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিলের (আইজিসি) তথ্যমতে, ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডের চালের দাম ৩৯ ও ভিয়েতনামের ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে ভারতীয় সেদ্ধ চালের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে নয়াদিল্লি নন-বাসমতি সাদা চাল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশটিতে প্রধান এ খাদ্যপণ্যের দাম অব্যাহত বাড়ছে।
নয়াদিল্লিভিত্তিক রফতানিকারক রাজেশ পাহাড়িয়া জৈন জানিয়েছেন, ‘ভারতে চাল সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বাড়তির দিকে। ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) চুক্তিতে ভারতীয় সেদ্ধ চালের দাম উঠেছে টনপ্রতি ৫২৫ ডলারে। এর সঙ্গে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত রফতানি শুল্কও দিতে হচ্ছে।
থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (টিআরইএ) মতে, শতভাগ আধা সেদ্ধ থাই চাল বিক্রি হচ্ছে টনপ্রতি ৬৫০ ডলারে। আর ৫ শতাংশ ভাঙা থাই সাদা চালও টনপ্রতি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সময়ে ভিয়েতনামি ৫ শতাংশ ভাঙা সাদা চাল লেনদেন হচ্ছে ৬৬৩-৬৬৭ ডলারে এবং একই জাতের পাকিস্তানি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৯৩-৫৯৭ ডলারে।
ভিয়েতনামের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, বিক্রি কম হওয়া সত্ত্বেও ভিয়েতনামি চালের দাম ২০০৮ সালের পরে এ-যাবৎকালের সর্বোচ্চে উঠেছে। সামগ্রিক সরবরাহস্বল্পতার কারণে মূল্য বাড়ছে।
এনজে