চলতি বছর বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার ২০ জন

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৩-১২-৩১ ২০:১৬:৩৭


চলতি বছর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২০ জন। এর মধ্যে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জে দুইজন নিহত হয়েছেন।

এছাড়া পুলিশের হেফাজতে ১৩ জন, র‍্যাবের হেফাজতে দুইজন ও ডিবি পুলিশের হেফাজতে তিনজন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩: আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর পর্যবেক্ষণে’ এ তথ্য তুলে ধরে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনটি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানায় আসক।

লিখিত বক্তব্যে আসকের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল বলেন, ২০২২ সাল থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাগত দিক কমে এলেও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। এমনকি এসব ক্ষেত্রে অভিযোগগুলো নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা যায়নি। ২০২২ সালে ১৯ জন নাগরিক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল।

কারা হেফাজতে মৃত্যু: আসকের তথ্য অনুসারে, চলতি বছর বিভিন্ন কারাগারে অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মারা গেছেন ১০৫ জন। এরমধ্যে কয়েদি ৪২ জন ও হাজতি ৬৩ জন। ২০২২ সালে কারা হেফাজতে মারা যান ৬৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২৮ জন ও হাজতি ৩৭ জন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ ও গুম: আসকের তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে নয়জন অপহরণ, গুম ও নিখোঁজের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ছয়জনকে, ফিরে এসেছেন তিন জন।

সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন: আসকের তথ্য অনুসারে, চলতি বছর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ৩০ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে লালমনিরহাটে তিনজন, সুনামগঞ্জে একজন, ঝিনাইদহে একজন, দিনাজপুরে দুইজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনজন, চুয়াডাঙ্গায় পাঁচজন, পঞ্চগড়ে পাঁচজন, কুড়িগ্রামে একজন, ঠাকুরগাঁওয়ে চারজন, সিলেটে একজন, মৌলভীবাজারে একজন ও রাজশাহীতে তিনজন নিহত হন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক ৩১ জন বাংলাদেশি নাগরিক মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

গণপিটুনি: আসকের তথ্য অনুসারে, চলতি বছর গণপিটুনির শিকার হয়েছেন ৫১ জন। ২০২২ সালে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন ৩৬ জন।

ধর্মীয় সংখ্যালঘু: আসকের তথ্য অনুসারে, চলতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ২১টি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আসকের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না, সিনিয়র সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির, সমন্বয়ক তামান্না হক রীতি।

এএ