মহানবী (সা.) যে সাতটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন

সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-০১-২৯ ১৪:৫১:৩৬


অসহায়-গরীব-মিসকিনরা সাধারণত সমাজের মানুষের ভালোবাসি থেকে বঞ্চিত। অথচ বিশ্ব মানবতার নবী মুহাম্মাদ (সা.) এই শ্রেণির লোকদের ভালোবাসার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আবু জার (রা.) বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু মুহাম্মাদ (সা.) আমাকে সাতটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন।

(১) আমি যেন গরিব-মিসকিনকে ভালোবাসি এবং তাদের নৈকট্য লাভ করি।

(২) আমি যেন ওই ব্যক্তির দিকে তাকাই, যে আমার চেয়ে নিম্ন স্তরের এবং ওই ব্যক্তির দিকে না তাকাই যে আমার চেয়ে উচ্চ পর্যায়ের।

(৩) আমি যেন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করি, যদিও তারা একে ছিন্ন করে।

(৪) আমি যেন কারো কাছে কিছু ভিক্ষা না করি।

(৫) আমি যেন সর্বদা ন্যায় ও সত্য কথা বলি, যদিও তা তিক্ত হয়।

(৬) আমি যেন আল্লাহর ব্যাপারে কোনো নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় না করি এবং

(৭) তিনি আমাকে এই নির্দেশই দিয়েছেন যে আমি যেন বেশির ভাগ সময় ‘লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ পাঠ করি। কেননা এই শব্দগুলো আরশের নিচের ভাণ্ডার থেকে আসা। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৪৪৯)

আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘তোমরা মিসকিনদের ভালোবাসো।’ কেননা আমি রাসুল (সা.)-কে তাঁর দোয়ায় বলতে শুনেছি, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মিসকিনরূপে জীবিত রাখ, মিসকিনরূপে মৃত্যুদান করো এবং মিসকিনদের দলভুক্ত করে হাশরের ময়দানে উত্থিত করো।

’ (ইবনু মাজাহ : ৪১২৬)

মহানবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের জীবন-যাপন ছিল অনাড়ম্বর। দরিদ্রতা ছিল তাঁদের নিত্যদিনের সঙ্গী। ওমর (রা.) বলেন, একদিন আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে দেখলাম তিনি একটি খেজুর পাতার চাটাইয়ের ওপরে শুয়ে আছেন। তাঁর ও চাটাইয়ের মাঝে কোনো চাদর  ছিল না। এতে চাটাইয়ের দাগ তাঁর শরীরে লেগে গেল।

আর তিনি (খেজুরগাছের) আঁশভর্তি একটি চামড়ার বালিশের ওপর ঠেস দিয়েছিলেন। (ওমর বলেন) আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আল্লাহর কাছে আপনি দোয়া করুন, তিনি যেন আপনার উম্মতকে সচ্ছলতা দান করেন। পারসিক ও রোমকদের সচ্ছলতা দান করা হয়েছে। অথচ তারা আল্লাহর ইবাদত করে না। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, হে খাত্তবাবের পুত্র! তুমি কি এখনো এই ধারণায় আছ? তারা তো এমন সম্প্রদায়, যাদের পার্থিব জীবনেই নিয়ামত আগাম দেওয়া হয়েছে। অন্য বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে তাদের জন্য দুনিয়া নির্ধারিত হোক, আর আমাদের জন্য আখিরাত। (বুখারি ও মুসলিম)

এনজে