ঘুমের জন্য ওষুধ নয়, বই পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০২-০১ ১৮:২৩:৩৭
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীতে সব থেকে মধুর ভাষা বাংলা। এত চমৎকার ভাষা কোথাও আছে কি না জানি না। হয়তো এটি আমাদের মাতৃভাষা বলে এমনটা মনে হয়।
তিনি বলেন, পড়ার অভ্যাস সবার থাকা উচিত। ছোটবেলা থেকে বাবা-মা যদি শিখায় সেটি ভালো হয়। অনেকে ঘুমের জন্য ওষুধ খায়, প্রয়োজন নেই। বই পড়লেই ঘুম চলে আসে। বেশি মজাদার বই পড়লে আবার ঘুম আসবে না। এ জন্য আবার বই বাছাই করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন প্রকাশকদের শুধু কাগুজে প্রকাশক হলে চলবে না, ডিজিটাল প্রকাশক হতে হবে। তাহলে আমরা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবো। বিদেশেও পৌঁছাতে পারবো। লেখার পাশাপাশি অডিও থাকবে, এমনটাই করা উচিত। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। অনুবাদ করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা ও সাহিত্য আছে, অনুবাদ না করলে আমরা কীভাবে জানবো? পাশাপাশি আমাদের বইগুলোও বাংলা থেকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করতে হবে।
বইমেলায় প্রাণ ফিরে পাওয়ার স্মৃতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে এলে ভালো লাগে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসার মজা নেই। ডানে ঘুরলে নিরাপত্তা, বামে ঘুরলে নিরাপত্তা। এ নিরাপত্তার বেড়াজালে স্বাধীনতাই হারিয়ে গেছে। এখানে স্কুল জীবন থেকে আসতাম। সে মজা এখন নিরাপত্তার কারণে তা পাই না।
তিনি বলেন, এখন আমাদের যুগ হয়ে গেছে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির যুগ। বই প্রকাশ অবশ্যই থাকবে, এটা যাবে না। কারণ, হাতে নিয়ে বই পড়ার মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ আছে। তবে আজকালকার ছেলে-মেয়েরা ট্যাবে করে বই পড়ে। আবার ল্যাপটপেও পড়ে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। স্বাধীনতার পর যখন জাতিসংঘ আমাদের স্বীকৃতি দিল, তিনি কিন্তু তখন সেখানে গিয়ে বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছিলেন। বাংলা ভাষায় ভাষণ অর্থাৎ বাংলাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। আমি আমার বাবার পথ অনুসরণ করে এই পর্যন্ত যতবার ভাষণ দিয়েছি, বাংলায় ভাষণ দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভাষা-সাহিত্য সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা উচিত। প্রকাশকদের অনুরোধ করে বলব— শুধু কাগজে প্রকাশ করলে হবে না ডিজিটালের প্রকাশক হতে হবে। ডিজিটাল প্রকাশক হলে এটা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও পৌঁছাবে। মনমানসিকতা পরিবর্তন করে আধুনিক প্রযুক্তিও রপ্ত করতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে আমার এগিয়ে যাব।
এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বরাবরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে মেলার আয়োজন।
মেলায় ৬৩৫ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে ৯৩৭টি ইউনিট। এবার প্রকাশনা সংস্থা বেড়েছে ৩৪টি। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০ প্রতিষ্ঠান ১৭৩টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭৬৪ ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে ৫১৫ প্রতিষ্ঠান।
বক্তব্যের আগেই প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বক্তব্যের পর মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
এএ