এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানি বেড়ে আট মাসের সর্বোচ্চে
সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-০২-০৬ ১০:২৯:৫২
এশিয়ায় অপরিশাধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে নতুন বছরে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি দেখেছে। জানুয়ারিতে আমদানি বেড়ে পৌঁছেছে আট মাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। বিশ্বের শীর্ষ ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত ক্রয়ের পরিমাণ বাড়ানোয় অঞ্চলটির আমদানিতে এমন উল্লম্ফন দেখা গেছে। খবর রয়টার্স।
এলএসইজি অয়েল রিসার্চের দেয়া তথ্যমতে, জানুয়ারিতে এশিয়ার দেশগুলো সব মিলিয়ে দৈনিক ২ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। গত ডিসেম্বরে যা ছিল দৈনিক ২ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল।
বিশ্বের শীর্ষ আমদানিকারক দেশ চীন আলোচ্য মাসে দৈনিক ১ কোটি ১৩ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল করে আমদানি করেছে, যা গত ডিসেম্বরের তুলনায় কিছুটা কম। তবে গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় দেশটির আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ওই সময় আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ১ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল।
চীনের পরিশোধন কেন্দ্রগুলো যখন জানুয়ারিতে সরবরাহের জন্য ক্রয়াদেশ দিয়েছিল তখন অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম তুলনামূলক অনেক কম ছিল। বিষয়টি তাদের ব্যাপক মাত্রায় আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত করে। চীন গত বছরগুলোয় কয়েক ধাপে আমদানি কোটা ঘোষণা করত। এবার বছরের শুরুতেই এক ধাপেই সব কোটা ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে পরিশোধন কেন্দ্রগুলো কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই বিপুল পরিমাণ আমদানি করতে সক্ষম হয়েছে।
সাধারণত চীনে সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করে সৌদি আরব। কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরেই এ জায়গা দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। জানুয়ারিতেও দেশটি থেকে সর্বাধিক আমদানি করেছে চীন। ট্যাংকার ও পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ১৯ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল। অন্যদিকে সৌদি আরব থেকে আমদানি করা হয়েছে দৈনিক ১৬ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল করে।
তবে দেশটিতে বাজার হিস্যা পুনরুদ্ধারে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সৌদি আরবও। ডিসেম্বরে দৈনিক ১৩ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল করে রফতানি করা হলেও জানুয়ারিতে তা দৈনিক তিন লাখ ব্যারেল করে বেড়েছে।
সৌদি আরব এশিয়ার ক্রেতাদের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছে। দেশটির জ্বালানি তেলের নিজস্ব গ্রেড আরব লাইট ক্রুডের ফেব্রুয়ারি সরবরাহ চুক্তির আনুষ্ঠানিক বিক্রয়মূল্য বা ওএসপি ২৭ মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে। দামে এমন নিম্নমুখী প্রবণতার ফলে দেশটি থেকে চলতি মাসে আমদানি আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে খাতসংশ্লিষ্টরা।
শুধু চীন নয়, বরং এশিয়ার অন্যান্য দেশও সৌদি আরব থেকে সাশ্রয়ী দামের কারণে আমদানি বাড়াচ্ছে। জানুয়ারিতে এ অঞ্চলে আমদানি হয়েছে দৈনিক ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল করে, ডিসেম্বরে যা ছিল দৈনিক ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল।
এনজে