ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল খাত একটি পরিবারের হাতে চলে যাচ্ছে

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০২-১০ ১৯:৪৮:২২


সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, কিছু বছর ধরে বলা হচ্ছে যে মুক্ত অর্থনীতির যুগে যেকোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে শেয়ার কিনে তো অধিগ্রহণ করতে পারে। কাজেই সেটা করাই যায়, ব্যাংকের শেয়ার কিনে মালিকানা দখল করা যায়। কিন্তু আমরা যে ভুলটা করছি বা করে ফেলছি সেটি হলো ব্যাংকের মতো একটা সংবেদনশীল খাতে কয়েকটি কারণে একটি পরিবারের হাতে মালিকনা চলে যাচ্ছে একাধিক ব্যাংকের। তবে অবশ্যই ব্যাংক খাত উন্নত হচ্ছে, ডিজিটাল হয়েছে এটাও ঠিক।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ব্যাংকিং অ্যালমানাক-এর ৫ম সংস্করণ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হলো ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান। হার্ট ভালো থাকে রক্ত সঞ্চালনের কারণে। আজ আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভালো অবস্থানে নেই। বাংলাদেশের ঋণমানে আন্তর্জাতিকভাবে যে অবনতি হয়েছে তা আর্থিক খাতের কারণেই হয়েছে।

তিনি বলেন, একটা সময় ব্যাংকে রোডম্যাপ ছিল কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে সেগুলো সব চলে গেছে। এখন আবারও কেন সেই বিধি-বিধানের কথা বলা হচ্ছে, ঋণখেলাপির সংজ্ঞা আরও আন্তর্জাতিক মানের পর্যায়ে নিয়ে আসার কথা বলা হচ্ছে? রোডম্যাপ যে করা হচ্ছে, সেই রোডম্যাপ দিয়ে আমরা কতদূর আসলাম, কী কারণে সেখান থেকে বিচ্যুত হলাম, কখন হলাম তার যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। তার যৌক্তিক কারণ না বুঝে আবারও রোডম্যাপ করলে কোনো কাজ হবে না।

দেশের প্রখ্যাত এ অর্থনীতিবিদ বলেন, সুদহার বেঁধে দেওয়ার বিষয় নিয়ে খুবই আলোচনা হচ্ছিল। এই সুদহার এক জায়গায় বেঁধে দেওয়া হবে কি না, সেটা ছয় বা নয় শতাংশ হবে ইত্যাদি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে নাকি সম্পূর্ণ উদার করে দেওয়া হবে, ঋণ ও আমানতের চাহিদা অনুযায়ী সুদের হার নির্ধারণ হবে ইত্যাদি। এটা একসময় করা হয়েছিল, তখন এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছিল এর পক্ষে-বিপক্ষে। আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বলেছিল এটা (সুদহার) উদারিকরণ করা হোক। সেই উদারিকরণ করার পরে নয়-ছয়ে আবারও বেঁধে দেওয়া হলো। অনেক দিন ধরে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, উচিত ছিল তার আগেই ছেড়ে দেওয়া। আবার যখন সম্পূর্ণ ছেড়ে দেওয়া হলো তখন আগের সব যুক্তি আমরা ভুলে গেছি।

তিনি বলেন, শুধু আইএমএফ-বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বাস্তবতা বোঝে না। একবারে সম্পূর্ণ ছেড়ে দিলে যেগুলো ছোট ছোট ব্যাংক, যারা নাজুক অবস্থায় আছে, যারা আমানত পায় না, তারা তো গ্রাহককে আমানতের জন্য বেশি সুদহার দিয়ে আকৃষ্ট করতে চাইবে। যারা খুব নিরপাদ ঋণ গ্রহীতা না, রিস্কি ঋণ গ্রহীতা, তাদের ঋণ দিয়ে আপাতত বেঁচে থাকতে চাইবে। সেখানেও সমস্যা তৈরি হবে। এটার আপাতত একটা সীমা থাকা দরকার। কারণ ঋণের সুদহারে যদি ঊর্ধ্বসীমা না থাকে তাহলে ওই ঋণ গ্রহীতারা যারা ঋণ নিচ্ছেন তারা হয় খুব ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ নেবেন অথবা যারা মনে করেন ঋণ নিচ্ছি আর ফেরত দেবো না তাদের কাছে তো সুদের হার কোনো বিষয় না। আমাদের বাস্তবতায় ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করে দেওয়ার বাস্তবতা আছে। কিন্তু এই বাস্তবতা আইএমএফ-বিশ্বব্যাংক বোঝে না।

নতুন প্রজন্মের ব্যাংক নিয়ে তিনি বলেন, তিন বছর আগে যে ব্যাংকগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল প্রভাবশালীদের, সেই ব্যাংকগুলো যে খুব বেশি আমানত সংগ্রহ করতে পারিনি এটা ঠিক। এক হাজার কোটি টাকার আমানতও অনেকে সংগ্রহ করতে পারেনি বা নেই। এভাবে তারা টিকে থাকতে পারবে না। এখন প্রশ্ন উঠেছে ওই ব্যাংকগুলো আবার একত্রিত করা হোক বা কমিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু এই ব্যাংকগুলোকে যখন অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তখন বহুবার আমরা বলেছি বাংলাদেশের মার্কেটে এত বেশি জায়গা নেই। এটা এতদিন পর বুঝতে পারলো কর্তৃপক্ষ এবং ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হয়েছিল বলে মনে করলো তারা।

আমানতকারী নিয়ে তিনি বলেন, একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়, যে ব্যাংকগুলো আমানত ও ঋণরে দিক থেকে বড় সেগুলোতে বড় ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারি হয়েছে। তারপরও এগুলোতে আমানত কমেনি। তার মানে এগুলোতে আমানতকারীরা কোন ব্যাংকে কেলেঙ্কারি হচ্ছে সেটা দেখেন না। একটা অলিখিত নিয়ম দেখেন আমানতকারী যে, ব্যাংকে টাকা রেখেছি সরকার আছে, বাংলাদেশ ব্যাংক আছে তারা রক্ষা করবে। এখন ব্যাংকে রক্ষা করতে হয় কারণ আমাদের মতো দেশে দু’একটা ব্যাংক উঠে গেলে আমানতকারীর বিরাট ক্ষতি হবে ও ব্যাংকের ওপর থেকে আস্থা চলে যাবে। এতে পুরো ব্যাংক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণে ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো না কোনোভাবে ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করা হয়। তবে এটা সবসময় টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, দেশে অনেকগুলো দুর্বল ব্যাংক আছে সেগুলোকে একত্রিত করা যায় কি না দেখতে হবে। জোর করে করতে গেলে অন্য বেসরকারি ব্যাংক এর দায় নেবে না। সরকারি ব্যাংকের ওপর চাড়িয়ে দেওয়া হলে শেষ পর্যন্ত ক্ষতির বোঝাটা সুদহারের যে ফারাক সেটা বেড়ে গিয়ে পুরো অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবেই হোক সাহায্য দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে, সেই ক্ষতি তো সারাদেশকেই কোনো না কোনোভাবে নিতে হয়। আশির দশকে যখন বেসরকারি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল তখন যে ভুলটা করা হয়েছিল, এখনো সেই ভূল করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আএএমএফ-বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বেসরকারি খাতের ব্যাংকে অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু নিয়ম-কানুন দরকার সেই নিয়মের কথা চিন্তা করিনি। সেজন্য তারা (বেসরকারি ব্যাংক শেয়ারধারী। বলেছিল ব্যাংক দিয়েছি টাকা নেওয়ার জন্য। সেই ভুল আবারও যেন না করি।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক গ্রন্থ প্রকাশ দেশের আথিক খাতের উপর একটি ভালো উদ্যোগ। গত কয়েক বছর ধরে গ্রন্থটির ব্যাংক ও আর্থিক খাতের তথ্য সন্নিবেশন করে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। তবে আমি মনে করি- এমন প্রকাশনার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা এবং এর ব্যাপক প্রচার হওয়া দরকার। ব্যাপক প্রচার হলে- যারা ব্যাংকার, যারা ব্যাংক নিয়ে কাজ করেন, গবেষক, বিনিয়োগকারি-আমানতকারি সবার জন্য বইটি সহায়ক ভুমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, ব্যাংকিং খাত হচ্ছে একটি দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ডের মতো। ব্যাংকিং অ্যালমানাক এই হৃদপিন্ডের তথ্যমূলক গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনা। ব্যাংকিং অ্যালমানাকে উপস্থাপিত তথ্যের আলোকে একজন ব্যাংকার, গবেষক, বিনিয়োগকারি, আমানতকারি জানতে পারবেন কোন ব্যাংকটির অবস্থা কেমন। সেই আলোকে তিনি ব্যাংকের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। গ্রাহকেরন জন্য কোন ব্যাংকের কি সুবিধা আছে, শেয়ার কোন ব্যাংকের কেমন, আমানত কোথায় রাখলে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে এসব তথ্য একসাথে এই গ্রন্থটিতে পাওয়া যাবে। সে হিসেবে বইটি তথ্য সহায়ক ভুমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ব্যাংকিং অ্যালমানাক এর এডিটোরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক দেশের প্রথম এ ধরণের প্রকাশনার উদ্যোগ। আমরা প্রতি সংস্করণেই চেষ্টা করছি নতুন ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য সংযোজন করতে। আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এধরণের প্রকাশনার জন্য যে পরিমাণ ফান্ড প্রয়োজন সে সাপোর্ট পাওয়া যায়না। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি সর্বশেষ তথ্য দিয়ে প্রকাশনাটির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে। ব্যাংকগুলো আমাদেরকে যে তথ্য দিচ্ছে আমরা সেগুলোই সন্নিবেশন করে উপস্থাপন করছি। এতে অন্তত দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের তুলনামূলক একটা চিত্র তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডারে পরিণত করার প্রয়াশ থাকবে।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং সেক্টরের পক্ষ থেকে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব শাহ মো. আব্দুল বারি। তিনি বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক ব্যাংক ও আর্থিক খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা। এর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই তথ্য ভান্ডার ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বময়। ব্যাংককিং অ্যালমানাকে ৫ম সংস্করণটি আরো তথ্যসমৃদ্ধ প্রকাশনা- যা বিনিয়োগকারি, গবেষক, ব্যাংকার, সাংবাদিক ও যারা ব্যাংক নিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য রেফারেন্স বুক হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশোন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর সাবেক চেয়ারম্যান এবং ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন। তিনি বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক দেশের আর্থিক খাতের একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রকাশনা। এবারের সংস্করণে ডিজিটাল ব্যাংকিং বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যা স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সহায়ক। ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে গবেষণার জন্য ব্যাংকিং অ্যালমানাক গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক আবদার রহমান বলেন, আমরা নিরলস চেষ্টার মাধ্যমে প্রতিবছরের মতো এবার ৫ম সংস্করণটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করতে পেরে ধন্য মনে করছি। আপনাদের জেনে ভাল লাগবে যে, ৫ বছর নিয়মিত প্রকাশের ধারাবাহিকতায় ব্যাংকিং অ্যালমানাক একটি স্বতন্ত্র ইন্সস্টিটিউশন হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছে। সুধীমহল থেকে এই প্রকাশনার আবশ্যিকতা এবং প্রকাশনা অব্যাহত রাখার পরামর্শ আসছে। আমরাও মনেকরি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে ব্যাংক খাতের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করা অপরিহার্য, একইসঙ্গে ব্যাংক খাতের উপর জনগণের আস্থা রক্ষার প্রচেষ্টা সমুন্নত রাখার কোনোই বিকল্প নেই। ব্যাংকিং অ্যালমানাক সবসময় দেশ এবং দেশের আর্থিক খাতের এই উন্নয়ন অভিযাত্রায় সহযাত্রীর ভুমিকায় থাকতে চায়।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, লিগ্যাল ইকোনোমিস্ট এম এস সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন, এসএ টিভির সালাউদ্দিন বাবলু।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় শিক্ষাবিষয়ক সাপ্তাহিক পত্রিকা শিক্ষাবিচিত্রার উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে এই গবেষণা গ্রন্থটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। ব্যাংকিং অ্যালমানাক এর গৌরবময় অভিযাত্রার ৫ বছর। প্রতিবছর একটি মোড়কে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী, সেবা এবং কর্মদক্ষতা সূচকের সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত সর্বসাধারণের সম্মুখে তুলে ধরার এক নির্ভরযোগ্য প্রয়াস ব্যাংকিং অ্যালমানাক। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিনিয়ত যে বিস্তর তথ্য-উপাত্তের উপর দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে অবদান রেখে যাচ্ছে ইধহশরহম অষসধহধপ তারই সুসংগঠিত বার্ষিক হালনাগাদ তথ্য-ভাণ্ডার।

গবেষক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য গবেষণা গ্রন্থ ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ গুরুত্বপূর্র্ণ অবদান রাখবে। বিশেষ করে বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং দেশী-বিদেশী গবেষণা সংস্থা এবং যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য এই ব্যাংকিং অ্যালমানাক খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা এ বইটিতে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য একসঙ্গে পাবেন। যা তাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পেতে সহায়তা করবে। শুধু তাই নয় গ্রন্থটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট গভর্নেন্সের জবাবদিহীতার বিষয়টিকে আরো শক্তিশালী করবে।

এএ