আগামী মাসেই বাজার ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

আপডেট: ২০২৪-০২-১৪ ২১:০০:৫৪


বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করতে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে বাজার ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আসবে। যা আগামী মাস থেকে দৃশ্যমান হবে।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোপলিটন চেম্বার আয়োজিত প্রথম ত্রৈমাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এমসিসিআই সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান। সঞ্চালনা করেন এমসিসিআই মহাসচিব ও সিইও ফারুক আহাম্মদ।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব মন্ত্রণালয় এক জায়গায় এনে বাজার ব্যবস্থাপনা করছি। আগামী ১ মাসেই এর পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে সব। ধীরে ধীরে আমরা সব কিছুর দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমি কখনোই ভোক্তা অধিকার দিয়ে বাজার ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ করতে চাইনা।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। কয়েকটা পণ্য হয়তো বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। এরমধ্যে চিনি, তেল এগুলো রয়েছে। চিনি এক ফসলি একটা পণ্য। চিনির জায়গায় তিন ফসলি পণ্য ফসল করা হচ্ছে। এখানে আমাদের বুঝতে হবে আমরা কী উৎপাদন করব।

টিসিবির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। আমি টিসিবিকে কীভাবে ইম্পোর্ট করে লোকাল সাপ্লাই দেয়া যায় সেই চিন্তাই করছি। এখন অনেকে বলছে টিসিবি তো এক্সপোর্টও করতে পারে। বর্তমানে আমরা টিসিবির মাধ্যমে প্রতিমাসে একবার ১ কোটি পরিবারকে ৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দিচ্ছি। রমজান মাসে সেটা ২ বার দেয়ার কথা হচ্ছে।

আগামী মার্চ থেকে চালের বস্তায় সব বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, পহেলা মার্চ থেকে প্রথমবারের মত চালের বস্তায় দাম লাগানো থাকবে। কোন জাতের ধান বা সকল বিস্তারিত থাকবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে কাজ করছে। ঢাকা শহরের শতভাগ মানুষ বাজারমূখী। গ্রামে ৫০ বা ৬০ শতাংশ মানুষ বাজার মুখী৷ তাই আমরা সবার জন্য একটি সহজ ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। যা শিগগিরই দৃশ্যমান হবে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাজারের যোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। অনেক সময় ভরা মৌসুমেও কৃষকরা পণ্যের মূল্য পায় না। এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করব টিসিবির মাধ্যমে। ওয়ান ভিলেজ ওয়ান প্রোডাক্ট নিয়ে আমরা কাজ করছি। সব সমস্যা দ্রুতই কাটিয়ে উঠব।

ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো সরকার বান্ধব হয়ে গেছে বলে মনে করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো সরকার বান্ধব হয়ে গেছে। এই সংগঠনগুলো জনবান্ধন হতে হবে। এখন ব্যবসায়ীদের কণ্ঠ অনেক নরম হয়ে গেছে। ৯০ দশকের দিকে তা ছিল ধারালো।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মাঠে কাজ করছি। আগামীকাল খাতুনগঞ্জে যাব। এরপর পুরান ঢাকায় যাব। মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন। আমরা মাঠের থেকে বাস্তবতা উপলব্ধি করে সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ভোক্তা অধিকার যেন কোনভাবেই ব্যবসায়ীদের জন্য প্রতিবন্ধকতা না হয় আমরা সে ব্যাপারেও কাজ করছি।