স্কুলছাত্র হত্যা মামলা, মা-ছেলেসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
আপডেট: ২০২৪-০২-১৯ ১৪:৩১:৪০
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আবু হোসাইন নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যা মামলায় মা-ছেলেসহ পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম মামলার ১৪ বছর পর এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্র নাথ মণ্ডল পিপি।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- জেলার পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের আবু রায়হানের ছেলে রাফিউল (৩২) ও স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৯), কোকতারা গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন (৪৯), রুস্তম আলী ওরফে টুরার ছেলে গোলাম রব্বানী (৩৪) এবং স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪৮)। তাদের মধ্যে আদালতে চার জন উপস্থিত ছিল। আমিনা বেগমকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
এই মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সকাল ৯টায় পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামে আবু তাহের পুকুর পাড়ে খড় তুলছিলেন। সে সময় তাকে শত্রুতার জের ধরে রব্বানী, আরিফুল, রাফেউল, রোস্তম আলী, মোস্তফা, সাইদার রহমান, আমিনা বেগম ও সাহিদা বেগম লাঠি ও লোহার শাবল দিয়ে মারপিট করে। এ সময় আবু হোসাইন এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখতে পায় তার বাবাকে মারপিটের দৃশ্য। বাবাকে রক্ষার্থে দৌড়ে এগিয়ে গেলে তাকেও মাথায় আঘাত করে আসামিরা। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাঁচবিবি হাসপাতালে নেন। পরে জয়পুরহাট ও বগুড়ার হাসপাতাল থেকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর আবু হোসাইনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে ২০১০ সালের ৩ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় নয় জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই বছরই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার আদালতের বিচারক এ রায় দেন।
মামলার সরকার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও গোকুল চন্দ্র মণ্ডল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান ও হেনা হাবিব চপল।
এনজে