উত্তর গাজায় ডাব্লিউএফপির ত্রাণ বিতরণ বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-০২-২১ ১২:৩৬:৫৬


ইসরায়েল-হামাস চলমান সংঘাতের মধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা ‘ডাব্লিউএফপি’ উত্তর গাজায় ত্রাণ বিতরণ বন্ধ রেখেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ওই এলাকায় সাধারণ শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, এ ছাড়া এলাকাটি এখন সম্পূর্ণ অনিরাপদ। এ কারণেই তারা সব কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। মঙ্গলবারের সর্বশেষ স্থগিতাদেশ উত্তর গাজায় অনাহারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।

ইসরায়েলি বিধ্বংসী হামালায় সম্পূর্ণভাবে উত্তর গাজা মানবিক সাহায্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) বলেছে, ‘এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া সহজ ছিল না, কারণ প্রচুর মানুষের ক্ষুধায় মারা যাওয়ার ঝুঁকি আছে।’ তবে তারা বলেছে, ‘গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সহায়তা প্রদানের নিরাপত্তা দেওয়া উচিত।’

সংস্থাটি আরো বলেছে, তিন সপ্তাহ আগে একটি ত্রাণবাহী ট্রাকে হামলা হওয়ার পর প্রথম উত্তরে খাদ্য সরবরাহ স্থগিত করা হয়েছিল।

এরপর চলতি সপ্তাহে খাদ্য সরবরাহের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তারা। গত রবিবার এবং সোমবার ত্রাণবাহী ট্রাক বন্দুকযুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিল এবং ক্ষুধার্ত মানুষগুলো পণ্যগুলো ছিনিয়ে নেয় এবং একজন ড্রাইভারকে মারধর করে।

আলজাজিরার যাচাইকৃত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিরা বন্দুকের গুলির মধ্যে এবং বোমার ধোঁয়ার মধ্যে পণ্য নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলায় একজন মারা গেছেন এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন।

ভিডিওগুলোতে আরো দেখা গেছে, ফিলিস্তিনি শিশুরা ছিঁড়ে যাওয়া বস্তা থেকে মাটিতে ছড়িয়ে পড়া ময়দা তোলার চেষ্টা করছে।

এর আগে ডাব্লিউএফপি সতর্ক করে বলেছিল, দুর্ভিক্ষ গাজার ২.৩ মিলিয়ন মানুষকে গ্রাস করতে পারে। তারা আরো জানায়, গত দুই দিনে উত্তর গাজার অবস্থা ভয়াবহভাবে খারাপ হয়ে পড়েছে। ইউএন অফিস ফর হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ)-এর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশের গড় সংখ্যা জানুয়ারিতে প্রতিদিন ১৪০টি থেকে ফেব্রুয়ারিতে ৬০টিতে নেমে এসেছে। ইসরায়েল গাজায় প্রবেশের পয়েন্টগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অন্তর্বর্তী রায়সহ মানবিক সহায়তার ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ছিটমহলটিতে মাত্র একটি ক্রসিং খোলা রাখা হয়েছে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, ক্রসিংগুলোতে ইসরায়েলি পদ্ধতির কারণে ট্রাক প্রবেশের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা

এনজে