দেশের সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যপথ হিসেবে ব্যবহার হবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ২০২৪-০২-২২ ১২:২৪:৩৬


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যপথ হিসেবে ব্যবহার হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’ প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগর ঘিরে যে বাণিজ্য চলে সেখানে যাতে কোনো দ্বন্দ্ব না হয়। শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যপথ হিসেবেই যেন অব্যাহত থাকে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যপথ হিসেবে ব্যবহার হবে এটাই চায় বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, সমুদ্রসীমা অধিকার নিয়ে ১৯৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো কোনো কাজ করেনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা ব্যবহার করে তা দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে চায় সরকার।

বিশ্বে চলমান যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি, প্রগতি ও উন্নতির পথ দেখায়, জাতিকে অগ্রসরমান করে, উন্নত জীবন দেয়। সেজন্য আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবো না। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সামর্থ্য থাকতে হবে। ফোর্সেস গোল তৈরি করেছি। সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।

সমুদ্রে তেল, গ্যাস উত্তোলনের জন্য এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তেল, গ্যাস উত্তোলনে বিনিয়োগ করতে পারেন। আমরা চাই তেল, গ্যাসের সঠিক ব্যবহার। বিশাল সমুদ্রসীমার সম্পদ ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করাই সরকারের লক্ষ্য।

বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা, বহির্বিশ্বের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন বাণিজ্যিক যোগাযোগ এবং সমুদ্র অঞ্চলের অর্থনীতির অগ্রগতি নিশ্চিতে উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রণয়ন করেন ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট’।

বিএইচ