গ্রিসে বৈধতা পেলেন ৩ হাজার ৪০৫ বাংলাদেশি

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০২-২৪ ১৮:৪৬:৩১


গ্রিসে বৈধভাবে বসবাসে অনুমতি পেলেন ৩ হাজার ৪০৫ জন বাংলাদেশি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া একটি সমঝোতা চুক্তির আওতায় এই অনুমতি দিল গ্রিস।

ইউরপের দেশটিতে বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল ১০ হাজার ৩৩৭ জন বাংলাদেশি। যাচাই-বাছাইয়ের পর ১ হাজার ৯ জনের আবেদন শেনজেন ভিসা রিপোর্টের ভিত্তিতে বাতিল হয়ে যায়। বাকি ৫ হাজার ৯০০ জনের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রিসের অভিবাসন ও অ্যাসাইলেম মন্ত্রণালয়।

২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রিসে দুই বছর ধরে অবস্থান করা যেকোনো বাংলাদেশি আবেদনকারীর পাসপোর্টে ২ বছরের মেয়াদ থাকলে এই আবেদন করার ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। তবে এই আবেদন করার আগে অ্যাথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়েছে আবেদনকারীদের। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই রেজিস্ট্রেশন চলেছে।

এই বছরও একই প্রক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত ১১৩ বাংলাদেশি গ্রিসে বসবাসের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ বলেন, আমাদের দূতাবাসের সুদীর্ঘ দুই বছরের কূটনৈতিক তৎপরতার ফলশ্রুতিতে অবশেষে আমরা সেই বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যকার যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল সেটার প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, গ্রিসে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিতভাবে অবস্থান করায় বাংলাদেশে যেতে পারছেন না, তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না, তারা কিন্তু রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েই বাংলাদেশে অনেকেই চলে গেছেন দেশে। ঘুরেও এসেছেন অনেকেই। যারা বিবেচনাধীন রয়েছেন গ্রিক কর্তৃপক্ষের যাচাই বাচাই সম্পন্ন হলে তারাও দ্রুত রেডিডেন্স কার্ড পেয়ে যাবেন।

গ্রিস প্রবাসীরা বলছেন, ইতিমধ্যে দেশটিতে বসবাসরত অনিয়মিত বাংলাদেশি বৈধ বসবাস করছেন। এক সময় বাংলাদেশিদের বিভিন্ন কারখানা ও খামারে দাসের মতো রাখা হতো। তবে কারো দাস নয় এবার তারা স্বাধীন মতো চাকুরী করছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। পাচ্ছেন সব ধরনের সুযোগ সুবিধা। অনেকেই নাড়ীর টানে ফিরেছেন নিজ দেশে। কেউ কেউ ১০ থেকে ১২ বছর যাবত অনিয়মিত অবস্থায় জীবন যাপনের পর বৈধ হয়ে দেশ থেকে ঘুরে গিয়েছেন। অনেকেই ছুটিতে আছেন বাংলাদেশে।

গ্রিসের অভিবাসন ও অ্যাসাইলেম মন্ত্রী দিমিত্রিস কেইরিদিস এই বছরের শুরুতে বলেছিলেন ২০২৪ সাল হবে বৈধ অভিবাসনের বছর। এই লক্ষে অভিবাসন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন শুরু করেছে দেশটি। গ্রিসের লক্ষ্য ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার অভিবাসন আবেদন নিষ্পন্ন করা।

এএ