সম্মেলন না হলে জাতীয় পার্টি হারিয়ে যেত: রওশন এরশাদ
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-০৩-০৯ ১৭:৫৯:১২
জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, আজ এই সম্মেলন যদি না হতো, তাহলে জাতীয় পার্টি হারিয়ে যেত। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আমরা হারিয়ে ফেলতাম। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই তার প্রতিফলন ঘটেছে।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে রওশন এরশাদের ডাকা জাতীয় পার্টির ১০ম জাতীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রওশন এরশাদ বলেন, আজ এই দশম সম্মেলনের মাধ্যমে এরশাদের নীতি-আদর্শ এবং উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও সংস্কারের রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের মনে আবার আমরা বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমরা অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এখনো টিকে আছি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর যখন একটু ঘুরে দাঁড়ালাম, তখন আমাদের দলীয় প্রতীক লাঙ্গল নিজেদের আয়ত্বে রাখার জন্য আদালতে দাঁড়াতে হয়েছিল। আদালতের সুবিচারে এরশাদ এবং আমি লাঙ্গল প্রতীক জাতীয় পার্টির জন্য বরাদ্দ পেয়েছিলাম। সেই লাঙ্গল প্রতীক এখনো আমাদের জাতীয় পার্টির অনুকূলে আছে এবং আগামীতেও থাকবে।
কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের উদ্দেশ্যে রওশন বলেন, স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, এরশাদের জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। আমরা এক আছি, ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। অতীতে যারা পার্টি ছেড়ে গেছে, তারা কেউ এরশাদের নীতি-আদর্শ নিয়ে যায়নি। এমনকি তারা তার ছবিও সঙ্গে নেয়নি। তাই জাতীয় পার্টি কখনো ভেঙেছে- তা আমি মনে করি না।
জাতীয় পার্টির (জাপা) রওশন এরশাদ অনুসারীদের ডাকা এই জাতীয় সম্মেলনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সহধর্মিণী রওশন এরশাদ। এতে মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মামুনুর রশীদ। এ ঘোষণার আগে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নেন রওশন এরশাদ।
জাতীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ।
পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে রওশন এরশাদের নাম ঘোষণা করলে উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিকেটরা দুই হাত উঠিয়ে তা সমর্থন জানান।
এরপর দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতার নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে কাজী ফিরোজ রশিদকে নির্বাহী চেয়ারম্যান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, আল মাহগির শাদ এরশাদ, গোলাম সারোয়ার মিলন ও সুনীল শুভ রায়কে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এই নাম ঘোষণার পর উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিকেটদের কাছে মহাসচিব হিসেবে কাজী মামুনুর রশীদের নাম ঘোষণা করেন গোলাম সারোয়ার মিলন। উপস্থিত সবাই তা সমর্থন করেন।
এম জি