মানসিক সমস্যা: কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে
আপডেট: ২০১৫-১০-২২ ১৮:১৪:৪২
আপনার পরিচিত কেউ যদি বুকে ব্যথা অনুভব করে, তাহলে আপনি কী করবেন? নিশ্চয় এক মুহূর্ত বিলম্ব না করেই চিকিৎসককে খবর দেবেন। কিন্তু ব্যথা যদি বুকে না হয়ে পিঠে বা শরীরের অন্য কোনো অংশে হলে, তাহলে কী করবেন? সেক্ষেত্রে হয়তো এক-দুই দিন অপেক্ষা করবেন, তাই না? কিন্তু আপনার বা আপনার পরিচিত কারো দুঃখবোধের মতো সাধারন আবেগ যখন অযৌক্তিক, তীব্র ও দীর্ঘ সময়ব্যাপী ঘিরে থাকে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন, কর্মতৎপরতা ও পারস্পরিক সম্পর্ক বাধাগ্রস্থ করে, সেক্ষেত্রে তার কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত?
এখনও অজ্ঞতা, সামজিক হেনস্থার ভয়ে খুব কম রোগীই মানসিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, প্রতি চারজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি জীবনের কোনো না কোনো সময়ে মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়।
অন্যান্য রোগের মতো মানসিক রোগও নিরাময় যোগ্য এবং যতো তাড়াতাড়ি এটি শনাক্ত করা সম্ভব, আরোগ্য লাভও ততো দ্রুত হয়।
নিম্নের পরিস্থিতিগুলো যদি নিজের অথবা পরিচিত কারো মধ্যে দেখতে পান, তাহলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
কোনো কারণ ছাড়াই মেজাজ পরিবর্তন: এটি খুব স্বাভাবিক যে বিভিন্ন ঘটনায় আমাদের মেজাজে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসে। তবে যদি কোনো কারণ ছাড়াই দ্রুত মেজাজ পরিবর্তন হতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে জটিল কিছু ঘটতে চলেছে। অর্থাৎ মেজাজে স্থিতিশীলতা হারিয়ে ফেলতে শুরু করলেই সতর্ক হোন।
রহস্যময় ব্যথা: মানসিক রোগের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে ব্যথা। শরীরের বিভিন্ন অংশে আকস্মিক ব্যথার উদ্রেক হেলাফেলার বিষয় নয়। মাথা ব্যথা, মাথায় অস্বস্তি, শরীর হাত পা জ্বালা করা, শরীর ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, গিঁটে গিঁটে ব্যথা, বুক ব্যথা হতে পারে। কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এসব ব্যথার কোনো কারণ পাওয়া যায় না।
সবকিছু অর্থহীন মনে হওয়া: প্রেমের সম্পর্ক বা ঘনিষ্ঠ কোনো সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে এই অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রে আগে যেসব কাজ করতে বা যেসব বিনোদন ভালো লাগত এখন সেগুলো ভালো না লাগা।
ঘুমের ব্যঘাত: ঘুমের সময় ব্যঘাত ঘটা, যেমন- খুব ভোরে ঘুম ভেঙে যাওয়া বা ঘুম না হওয়া অথবা বেশি ঘুম হওয়া।
ভুলে যাওয়া: মনোযোগ কমে যাওয়া এবং সাধারন বিষয় ভুলে যাওয়া মানসিক সমস্যার অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ। মূলত মনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে সাধারন বিষয়গুলো নিজের অজান্তেই ভুলে যায়।
নিজের ক্ষতি করার চিন্তা: সব সময় মৃত্যু চিন্তা করা, নিজেকে অপরাধী ভাবা, আত্মহত্যার চিন্তা ও চেষ্টা করা ইত্যাদি।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ