৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-০৩-৩০ ১২:০৬:৩৪


ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় বগাদানা জামে মসজিদে টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ায় বাইসাইকেল পুরস্কার পেয়েছে ২২ কিশোর। শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করে মসজিদমুখী করার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নিয়েছে মসজিদ কমিটি।

শুক্রবার (৩০ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে মসজিদের সামনে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে তাদের পুরস্কৃত করা হয়।

জানা গেছে, এর জন্য মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশু-কিশোরদের নাম রেজিস্ট্রেশন ও নিয়মিত নামাজের জামাত শেষে ইমামের স্বাক্ষর সংগ্রহ বাধ্যতামূলক ছিল।

শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করে মসজিদমুখী করার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

বগাদানা জামে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ডা. এম এ ইউসফ বলেন, মূলত শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি উৎসাহ জোগাতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। আমরা বলেছিলাম, ১০ বছর থেকে ১৮ বছরের শিশু-কিশোরেরা যদি ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, তাহলে প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে এলাকার শিশু-কিশোরেরা মসজিদে নামাজ আদায় শুরু করে। তাদের মধ্য থেকে ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়া যাচাই-বাছাই করে সাইকেল এবং বাকিদের টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা শফিউল্লাহ জানান, এই কার্যক্রম বাচ্চাদের নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। আমরা কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি যে ছেলেরা নামাজে নিয়মিত আসছে। তাদের পদচারণে মসজিদ সব সময় মুখর থাকত।

পুরস্কারপ্রাপ্ত মেহেদী হাসান অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলে, আমরা এই পুরস্কার পেয়ে অত্যন্ত খুশি। এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের ভবিষ্যতে নামাজ পড়তে আরও উৎসাহ জোগাবে।

বাইসাইকেল পাওয়া কিশোরেরা হলো- মেহেদী হাসান, সাফাত আল তাওসিপ, মো. আশরাফুল হক, মেহেদী হাসান, তামিম উদ্দিন সোহান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. রহীম, তাসনিমুল ইসলাম, নুরের জামান মারুফ, মো. সাজেদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম, আরমান আলা উদ্দিন, ওমায়ের হোসেন, তাজুল ইসলাম, শাখাওয়াত হোসেন, ইমরান হোসেন মেহরাজ, রিয়াদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, তানবীরুল ইসলাম। এ ছাড়া ২ হাজার টাকা করে পুরস্কার পেয়েছে ছালেহ আহমেদ, মো. ইয়াছিন. মো. ইউসুফ, আতিকুল ইসলাম, আতিকুর রহমান ও মো. দুলাল।

বিএইচ