বাংলাদেশসহ এশিয়াজুড়ে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী

পুঁজিবাজার ডেস্ক আপডেট: ২০২৪-০৫-০২ ২০:০৫:০৪


ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশের প্রধান দুই মার্কেট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ঊধ্র্বগামী হয়েছে। সেই সঙ্গে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে উত্থান ঘটেছে।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে সবকটি মূল্য সূচক। এ নিয়ে সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিনই তা বাড়লো।

এদিন ডিএসই’তে ৯টি প্রতিষ্ঠান দাপট দেখিয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ দামে এগুলোর শেয়ার বিপুল পরিমাণে ক্রয়ের আদেশ আসে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাপেক্স ট্যানারি, ফার কেমিক্যাল, জিপিএইচ ইস্পাত, অ্যাকটিভ ফাইন, ফারইস্ট নিটিং, গোল্ডেন জুবেলি মিউচুয়াল ফান্ড, অলটেক্স এবং সোনালী আঁশ।

ডিএসই’তে শেয়ার মূল্য ও সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সিএসই’তেও একই অবস্থা। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’তে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দর কমেছে ১৪০টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪৮টির মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬১৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ডিএসই’তে দিনভর লেনদেন হয়েছে ৭১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৮৩৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এই হিসাবে লেনদেন কমেছে ১২৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মালেক স্পিনিংয়ের ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।

ডিএসই’তে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-আইটি কনসালটেন্ট, ওরিয়ন ইনফিউশন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ফার্মা, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, শাহিনপুকুর সিরামিক এবং বেস্ট হোল্ডিং।

অপরদিকে, দেশের দ্বিতীয় পুঁজিবাজার সিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেয়া ২২২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দর কমেছে ৮৪টির এবং ২৩টির মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে তা ছিল ৯২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

একই কর্মদিবসে জাপানের বাইরে এশিয়া-প্যাসিফিক শেয়ারের এমএসসিআই ব্রডেস্ট সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। এতে চীনের শেয়ারবাজার চাঙা হয়েছে। ব্লু-চিপ সিএসআই৩০০ সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।

সাংহাই কম্পোজিট সূচকের উত্থান ঘটেছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ঊর্ধ্বগামী হয়েছে ৩ শতাংশেরও বেশি। তবে জাপানের নিক্কেই সূচকের পতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ।

এএ