বুয়েট উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আপডেট: ২০২৪-০৬-২৪ ২০:২৬:৩৮


শেষ কর্মদিবসে একটি অফিস আদেশ জারি করার জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বুয়েটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে উপাচার্য কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। সন্ধ্যার পরও অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন তিনি।

জানা যায়, আগামীকাল মঙ্গলবার বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি এক অফিস আদেশে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৫ রহিত করেন। নীতিমালা-২০১৫ বাতিলের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারকে অবরুদ্ধ করেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪০তম সভায় ২৭-১২-২০২৩ তারিখের পরবর্তী সময়ে নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রাপ্যতার জন্য বিবেচিত হবেন না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়টি জানিয়ে গতকাল রোববার বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি অফিস আদেশ জারি করে।

সেই আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে এরই মধ্যে যাদের পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকবে। নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে যাদের পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে, তাদের চাকরি শেষ হলে/পদত্যাগ করলে/অপসারণ/ পদচ্যুত করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের অর্গানোগ্রাম বর্হিভূত পদ বিলুপ্ত হবে এবং অর্গানোগ্রামভুক্ত মূল পদ শূন্য হবে।

এছাড়াও ২৭-১২-২০২৩ তারিখের পরবর্তী সময়ে প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদানে সরকারি নীতিমালা এবং ইউজিসি অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম প্রযোজ্য হবে। কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি সরকারি নীতিমালায় এরই মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত গ্রেডের চেয়ে উচ্চতর গ্রেড অথবা পদ প্রাপ্ত হন তাহলে তা প্রদান করা হবে।

বিএইচ