কোটা সংস্কারের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আপডেট: ২০২৪-০৭-০১ ১৪:৩৭:৩৬


সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও ২০১৮ সালে জারিকৃত পরিপত্র বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।

সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে রায় সাহেব বাজার প্রদক্ষিণ করে আবার ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে তারা।

সমাবেশে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জসীম উদ্দিন বলেন, বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থায় হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করা হোক। সেই সঙ্গে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা নয় মেধাকে যাচাই করে নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বে বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও কোটা আধুনিকায়ন করতে হবে।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না বলেন, ২০১৮ সালের কোটার পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে এবং তৃতীয় এবং চতুর্থ গ্রেডে কোটা প্রয়োগের আমূল সংস্কার করতে হবে। এছাড়া একই কোটা বারবার প্রয়োগের বিষয়টি বাতিল করতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর যে দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ কর্মহীন, সেখানে এই ধরনের কোটা প্রথা রীতিমতো বৈষম্য।

এসময় আন্দোলনকারীরা ৪ দফা দাবি উল্লেখ করে। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী, কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিএইচ