কুড়িগ্রামে নিজ বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশ: ২০১৬-০৯-১৯ ১৮:৫৪:৪৬
জেলার রৌমারী উপজেলায় একটি বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হলেন গোলাম হোসেন ও শিল্পী খাতুন। এদের মধ্যে গোলাম হোসেন আত্মহত্যা করেছেন ধারণা করলেও শিল্পী খাতুন কীভাবে মারা গেলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার সকালে উপজেলার বাইটকামারী গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম সাজিদুল ইসলাম। তিনি জানান, ভোর ছয়টা থেকে নয়টার মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশ জানায়, এই দম্পতির দুই মেয়ে পাঁচ বছরের সমাপ্তি ও নয় বছরের সুপ্তির কান্না শুনে প্রতিবেশীরা তাদের মরদেহ দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘরের একটি কক্ষের মেঝেতে শিল্পী খাতুনকে পাওয়া যায়। তার গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
আর গোলাম হোসেনকে গলায় গামছা পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা সাজিদুল ইসলাম জানান, শিল্পীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় সম্প্রতি তার স্বামী এলাকার কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। তবে এই ঘটনা তার জের কি না সে বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। তবে স্ত্রীর বিষয়টি পরিষ্কার নয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, প্রতিবেদন আসলে পরে জানা যাবে।
তবে নিহত শিল্পীর মা মিলন মালা অভিযোগ করেছেন, তার মেয়ে ও জামাতাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এলাকার সাত থেকে আট জন বখাটে যুবক দীর্ঘদিন যাবত আমার মেয়েকে উত্তক্ত করে আসছে, এ বিষয়ে রৌমারী থানায় অভিযোগ দিছিলাম। গ্রামে বসে সালিশিও হয়েছে। এই বখাটে ছেলেগুলো সংসারের শান্তি নষ্ট করেছে, এরাই আমার মেয়ে ও জামাইকে খুন করেছে।’