নারীর ক্ষমতায়নে পর্যাপ্ত সুযোগ চান প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ২০১৬-০৯-২১ ১৮:০০:৩৯


pm-%e0%a6%ad%e0%a7%83%e0%a7%81%e0%a6%b9%e0%a6%b8%e0%a7%83টেকসই ভবিষ্যত তৈরিতে নারীদের জন্য ক্ষেত্র তৈরি অব্যাহত রাখতে বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন ও অংশগ্রহণ বাড়লে সন্ত্রাস এবং উগ্রাবাদের স্থান সংকুচিত হবে। তাই টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষে আমাদের অবশ্যই নারীদের জন্য ক্ষেত্র তৈরির সুযোগ বাড়াতে হবে।

জাতিসংঘ সদর দফতরে মঙ্গলবার ‘সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে নারী নেতৃত্ব ও লিঙ্গ পরিপ্রেক্ষিত’ সংক্রান্ত একটি বিষয়ের উপর আলোচনাকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী আর্নে সোলবার্গ এ ইভেটের আয়োজন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস এবং উগ্রবাদ সভ্য সমাজকে অপদস্ত করছে। শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে, টেকসই উন্নয়ন এবং মানুষের পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধকে নস্যাৎ করছে।

সহিংস চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণে নারীর ভূমিকা ও নেতৃত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে জাতিসংঘের মহাসচিবের নতুন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবং এতে তিনি আনন্দিত বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সহিংস চরমপন্থার ভিত্তিগত আচরণ পরিবর্তনে সবার জন্য বিশেষ করে মেয়েদের জন্য শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ একটি অস্ত্র। তাই শিশুদের পরামর্শক হয়ে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আমি প্রতিটি মায়েদের উৎসাহিত করি।

নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কুলের ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী শিক্ষক। তারা শিশুদের মননে সহ্য ক্ষমতা বাড়ানো এবং বৈচিত্র বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন।

আমাদের শিশুরা চরমপন্থা থেকে অবশ্যই সুরক্ষিত হবে মনে করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, পুলিশে নারী সদস্যরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে আত্মবিশ্বাস অর্জনে। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকারের নারী প্রতিনিধিরা প্রতিটি পরিবারে মৌলবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে সংসদের নারী সদস্যরা নারীদের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং নীতিমালা তৈরিতে সাহায্য করছেন। সহিংস চরমপন্থায় নারীদের যুক্ত করার নতুন একটি প্রবণতা আমরা দেখেছি। কি কারণে নারীরা চরমপন্থার মতো একটি ভুল পথের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আমরা তা বের করার চেষ্টা করছি। আমাদের সরকার সব ধরনের সন্ত্রাস এবং চরমপন্থার ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে।

নারী সমাজের উন্নয়নে জাতীয় নীতিমালা সকল ক্ষেত্রে সমান সুযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: বাসস।