রাজশাহীর খোকন আলী হত্যা: ৯ জনের যাবজ্জীবন
জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২৪-০৮-২২ ১৮:২৪:৫৭
রাজশাহীতে মসজিদ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে খোকন আলী (৩৫) খুনের মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আজগর আলীর ছেলে জিয়ারুল ইসলাম, নবীর উদ্দিনের ছেলে রনি, মৃত আফজ উদ্দিন শাহের ছেলে শাহজাহান আলী সাজু, আবু বক্করের ছেলে মিলন আলী, মৃত এরফান আলীর ছেলে সেকেন্দার আলী, হায়দার আলী, মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে ইমরান আলী, মৃত রফেজ উদ্দিনের ছেলে আশরাফ আলী ও ফজলুল হকের ছেলে ফারুক হোসেন। তারা রাজশাহীর চারঘাট জোতকার্তিক এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে ২০২২ সালের ৮ এপ্রিল রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার জোতকার্তিক গ্রামের মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন খোকন আলী। এই ঘটনার পরের দিন নিহত খোকন আলীর স্ত্রী রুপা খাতুন বাদী হয়ে চারঘাট থানায় ৩৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা হয়। তদন্ত শেষে এজাহারে নাম আসে ২৭ আসামির। এর মধ্যে মামলার বিচার চলাকালে আসামি মো. ইমাজ উদ্দিন মারা গেছেন। এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ২৭ জন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জোতকার্তিক গ্রামের জামে মসজিদ কমিটির সভাপতিকে সরিয়ে কামরুজ্জামান মুকুল পবরবর্তীতে সেই মসজিদের সভাপতি হন। ফলে ওই সময় দুইটি পক্ষ তৈরি হয়। একটি পক্ষ তাবু বা চান্দুয়া টানিয়ে আরেকটি মসজিদ করে। এ সময় জামে মসজিদের ইমামকে সরিয়ে দিলে তিনি এই তাবু টানানো মসজিদে নামাজ পড়ান।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন (রজমান মাস) কামরুজ্জামান মুকুলের লোকজন অপরপক্ষকে বলেন তোমরা যাত্রা প্যান্ডেল করছো। এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নয়জন আহত হন। এর মধ্যে খোকন আলী মারা যান।
এম জি