ক্ষমতায় গেলে সিটিজেন আর্মি গড়ে তুলব: মেজর হাফিজ

সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-০৮-২৭ ২১:১৪:৩২


বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যদি বিএনপিকে দায়িত্ব দেয়, তাহলে পুরো জাতিকে মিলিটারি ট্রেনিং দিয়ে সৈনিকে পরিণত করব। কোনো প্রতিবেশী দেশ যাতে আমাদের দিকে রক্তচক্ষু না দেখাতে পারে, আমরা যাতে আগ্রাসনের শিকার না হই সেজন্য আমরা সিটিজেন আর্মি গড়ে তুলব।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে সংগঠনটির সাবেক আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবের স্মরণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গত ১২ আগস্ট রাজধানীতে মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব।

হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ছাত্ররা বছরে দুই মাস বেসিক সামরিক ট্রেনিং নিয়ে তারপর আবার ছুটি শেষ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা শুরু করবে।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা চাই বিপ্লব যেন পথ হারিয়ে না ফেলে। উপদেষ্টা পরিষদে যারা আছেন আপনারা বিপ্লবকে ধারণ করুন। এই বিপ্লব সফল পরিণতির দিকে যাক আমরা এটাই চাই।

মেজর হাফিজ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের গৌরব- আপনি শক্ত হন, নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। বাংলাদেশের জনতা আপনাদের সাথে আছে।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের বিরুদ্ধে প্রতিবিপ্লব রুখতে সবাই সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী আওয়ামী লীগ নেত্রী (শেখ হাসিনা) ও পতিত সরকারের সদস্যরা বিপ্লবের বিরুদ্ধে প্রতিবিপ্লব করতে গেলে বর্তমান সরকারের উচিত হবে প্রথমে বিডিআরকে (বিজিবি) ডাকা, বিডিআর না পারলে সেনাবাহিনীকে ডাকেন। আমরা প্রত্যেকটি বাহিনীর আসল চরিত্র- তারা জনগণের পক্ষে নাকি বিপক্ষে তা দেখতে চাই।

আনসার সদস্যরা সচিবালয়ের দেয়াল টপকিয়ে উপদেষ্টা এবং সরকারি কর্মকর্তাদেরকে ঘেরাও করে কোন সাহসে? এমন প্রশ্নও যোগ করেন তিনি।

মেজর হাফিজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, দেশের স্টেকহোল্ডার হলো পলিটিক্যাল পার্টি। যদি গণতন্ত্র চান পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর সঙ্গে কথা বলুন। সংসদে অতীতে প্রতিনিধিত্ব আছে এই ধরনের রাজনৈতিক দল অতীতে প্রতিনিধিত্ব পেয়েছে তাদের সঙ্গে দ্রুত আলাপ করুন। কীভাবে গণতন্ত্র উত্তরণ করা যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে তাদের কাছ থেকে সুপারিশ গ্রহণ করুন।

হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, গণতন্ত্র উত্তরণে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত করেন। এরা তো জনগণের নির্বাচন কমিশন না। এই নির্বাচন কমিশন দিনের ভোট রাতে করেছে, একদিন আগে করেছে।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র চাই, জনগণের শাসন চাই। আমরা প্রতিবেশি দেশের শাসন চাই না, অন্য কোনো শক্তির শাসনও চাই না।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলব, আমরা আপনাকে সহযোগিতা করব, আপনি দেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যান।

বিএনপির এ নেতা বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। একটি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিদের দায়িত্বভার গ্রহণ করার সুযোগ করে দেন। রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।

মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিঞার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুর রহিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

বিএইচ