নোয়াখালীতে বন্যায় প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-০৮-২৯ ১২:১৬:১২
নোয়াখালীর ৮টি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি প্রতিদিনই অবনতির দিকে যাচ্ছে। একদিকে ফেনী থেকে নেমে আসছে বন্যার পানি অন্যদিকে টানা ভারি বৃষ্টির কারণে পানি বেড়েই চলছে সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার প্রতিটি এলাকায়। সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানেও কিছুটা পানি বেড়েছে। আমন, আউশ ধান ও শরৎকালিন শাকসবজির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে প্রাণিসম্পদে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যমতে, বন্যার কারণে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলা কয়েক ফুট পানির নিচে প্লাবিত হয়। নিচু এলাকাগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ। প্রতিদিন বাড়তে থাকে পানি, যা বর্তমানে বলবত আছে। বন্যায় প্রাণিসম্পদে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সদর উপজেলায়। এখন পর্যন্ত বন্যার পানিতে মারা গেছে প্রায় ১লাখ ৮৭হাজার ৩১৪টি গৃহপালিত পশু, যারমধ্যে রয়েছে ২৮টি গরু, ১টি মহিষ, ১২টি ছাগল, ৩টি ভেড়া, ১লাখ ৮৬হাজার ৭৭০টি মুরগি ও ৫শত হাঁস। পানিতে ভেসে গেছে ৪৮ হেক্টর গোচারণভূমি, ১৫৪টন দানাদার খাদ্য, ৩৪৬টন খড় ও ৩৬৬টন কাঁচা ঘাস, যেখানে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১কোটি ৪৩লাখ ৮৬হাজার টাকা।
এছাড়াও জেলার ১০৮টি গরুর খামার নষ্ট হয়েছে যেখানে ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ১৪লাখ ২০হাজার টাকা, ১৯৬টি হাঁস-মুরগির খামারে ক্ষতি হয়েছে ৫ কোটি ৬৯লাখ ৫০হাজার ৩০০টাকা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর এলাকার নিহা ও এনপি পোল্ট্রির সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ নূর উদ্দিন বলেন, গত ২২ আগস্ট বন্যার পানি ডুকে তার খামারে ১৭দিন বয়সী ৮হাজার মুরগি মারা যায়, যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫লাখ টাকা। এছাড়া তার গুরুর খামারে ৩টি বাছুর ও ৭টি বড় গরু মারা যায়, যার বাজার মূল্য প্রায় ৮লাখ টাকা। তিনি ছাড়াও তার আশপাশের রাণী পোল্ট্রি, মিয়া পোল্ট্রি, আশেক পোল্ট্রি, নবাব পোল্ট্রি ও নোভা পোল্ট্রি’সহ প্রায় ১০টি পোল্ট্রি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু এতোদিন পার হলেও প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে কোন কর্মকর্তা খোঁজখবর নেননি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ৮টি উপজেলায় প্রাণিসম্পদে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি অপূরনীয়। পুরো জেলায় গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিনি মানুষের ত্রাণের পাশাপাশি গোখাদ্য সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানান।
এম জি