সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ

আপডেট: ২০২৪-০৯-০১ ১৮:৫৯:৫১


সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সিনিয়র সচিবের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, সকল সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চাকরিজীবীদের সেই হিসাব কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে একটি ফরম্যাট প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব বিবরণী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের স্মারকমূলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে কর্মরত সব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের (স্বামী/স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা) দেশে ও বিদেশে অবস্থিত সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

‘সে লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের (স্বামী/স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা) দেশে ও বিদেশের সম্পদের হিসাব বিবরণী আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংযুক্ত ফরম অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তরে দাখিল করার জন্য প্রধান বিচারপতি অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের (স্বামী/স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা) দেশে ও বিদেশের সম্পদের হিসাব বিবরণী আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংযুক্ত ফরম অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তরে দাখিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

জানা গেছে, পাঁচ বছর পর পর সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু হয় ১৯৭৯ সালে। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। চাকরিজীবীর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আচরণ বিধিমালায় এ নিয়ম যুক্ত করা হয়। যদিও চার দশকের বেশি সময় ধরে এ নিয়ম পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি।

এ ছাড়া কয়েকটি মন্ত্রণালয় তাদের অধীন কর্মচারীর কাছে সম্পদের বিবরণী চেয়েও আশানুরূপ সাড়া পায়নি।

আচরণ বিধিমালা অনুসারে, নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার কথা। সরকারি চাকরিতে ক্যাডার রয়েছে ২৬টি। এসব ক্যাডার কর্মকর্তা তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করেন।

সম্পদের হিসাবও নিজ নিজ মন্ত্রণালয়েই দেওয়ার কথা। ক্যাডার কর্মকর্তার বাইরেও সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বিপুলসংখ্যক নন-ক্যাডার কর্মকর্তা রয়েছেন।

এএ