হামলা-ভাংচুরের পর বন্ধ হয়ে গেল জনতা জুটমিল

প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-০৯-০৭ ১৮:৪১:৪৭


নরসিংদীর পলাশে ১৪ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বিক্ষুব্ধ একাংশ শ্রমিকদের হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের পর জনতা জুটমিল লি: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মিল কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মিলের প্রধান ফটকে বন্ধ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়।

মিলটিতে সাত হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিল।

এদিকে, পুনরায় চালু করার সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করে বন্ধ ঘোষণায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বন্ধ ঘোষণার পরে মিলটির কলোনি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন সেখানে বসবাসরত হাজারো শ্রমিক।

জনতা জুট মিলস লিমিটেডের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার মো: মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে- জনতা জুট মিলস্ লিমিটেডে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যবর্তী বিভিন্ন সময়ে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, বেআইনি ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ভাংচুরে লিপ্ত ছিল। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পরায় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সকল উৎপাদন কার্যক্রম আজ ৭ সেপ্টেম্বর এ শিফট থেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিল বন্ধকালীন সময়ের দীর্ঘসূত্রতার প্রেক্ষিতে শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা মোতাবেক উপযুক্ত শ্রমিকরা ধারা ১২(৬), ১২(৭) বা ১২(৮) অনুসারে মজুরী প্রাপ্য হবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স শ্রমিককে জনতা জুট মিলস্ লিমিটেডের কর্মক্ষেত্রে যোগদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া গেল।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পলাশের বাগপাড়া গ্রামে অবস্থিত আকিজ-বশির গ্রুপের মালিকানাধীন জনতা জুটমিলস লিমিটেডে ১৪ দফা দাবিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে মিলের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। হামলায় মিলের প্রশাসনিক ভবন, লেবার অফিস, নিরাপত্তা অফিস, গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন অফিস কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এসময় বাধা দিতে গিয়ে মিলের ছয়জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। খবর পেয়ে র‌্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে, মিলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ ব্যাপারে মিলের জেনারেল ম্যানেজার মো: মতিউর রহমান জানান, কবে নাগাদ মিলের উৎপাদন চালু হবে তা পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে মিল কর্তৃপক্ষ।

এএ