‘কল্যাণ তহবিলের আওতায় আসবে সব শ্রমিক’

আপডেট: ২০১৬-১০-০৯ ১৭:২৪:৫৯


chunnuদেশের সব শ্রমিককে কল্যাণ তহবিলের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

রোববার রাজধানীর মতিঝিলের চেম্বার ভবনে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) উদ্যোগে কর্মস্থলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, কোনো পোশাক শ্রমিক মৃত্যুবরণ করলে এ তহবিল থেকে মৃত্যুজনিত কারণে সর্বোচ্চ তিন লাখ এবং বিমা বাবদ দুই লাখ টাকা অর্থ সহায়তা পাবেন। আশা করি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকদের ক্ষেত্রে তা কার্যকর করতে পারবো। পর্যায়ক্রমে দেশের সব শ্রমিককে কল্যাণ তহবিলের আওতায় আনা হবে।শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন শ্রমিক কোনো দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলে মাত্র ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পায়। তা দিয়ে কোনো পরিবারের চলে না। তাই রপ্তানিমুখী শিল্প বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি মূল্যের ০.০৩ শতাংশ সরাসরি শ্রমিক কল্যাণ কেন্দ্রীয় তহবিলে গত ১ জুলাই থেকে জমা শুরু হয়েছে। এ তহবিলের মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের সহায়তা দেওয়া শুরু করা যাবে।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বাংলাদেশে ৮৩ লাখ ছোট-বড় কারখানা ও ব্যবসা কেন্দ্র রয়েছে।  এখানে শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তত ২০ হাজার পরিদর্শন টিম দরকার। কিন্তু রয়েছে মাত্র ২৫০ টিম। তাই ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর উচিত প্রত্যেক সদস্যের প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিজেরাই নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, যখন রানা প্লাজার মতো কোনো দূর্ঘটনা ঘটে তখন সব দোষ হয় সরকারের। অথচ এখান থেকেই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক রপ্তানি ও বিদেশিরা অর্ডার দিয়ে থাকে। তখন তারা কাজের পরিবেশ দেখেন না। সবাইকে শ্রমিক আইন অনুসরণ ও কর্মপরিবেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনয়েট পিয়েরে ল্যারামি  বলেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। কানাডা বাংলাদেশ থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি তৈরি পোশাক আমদানি করে থাকে।  এখানে এই সেক্টরে কর্মপরিবেশ উন্নত করে আরও অগ্রগতির সুযোগ রয়েছে। তবে রানা প্লাজার মতো কোনো দূর্ঘটনা যেন আর না হয় সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গার্মন্টেসসহ সব প্রতিষ্ঠান ফায়ার সেফটির বিষয়ে কাজ করছে। অ্যাকোর্ড ও অ্যালাইন্সের রিপোর্টেও তৈরি পোশাক খাতের অগ্রগতি সন্তোষজনক। তাদের রিপোর্টে এই অগ্রগতি ৭০ ও ৬৩ শতাংশ। ভবিষ্যতে আরও অগ্রগতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন আইএলও-এর কান্ট্রিডিরেক্টর শ্রীনিবাস বি রেড্ডি, বিকেএমইএ’র সহ- সভাপতি আসলাম সানী ও বিইএফ এর সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ প্রমুখ।