‘নদী দখল ও দূষণকারীরা এ যুগের রাজাকার’
প্রকাশ: ২০১৬-১০-১১ ১৭:২২:৫৫
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছেন, ‘নদী দখল ও দূষণ করছে তারা নিষ্ঠুর, বর্বর ও এ যুগের রাজাকার।’
তিনি বলেন, ‘নদীর দূষণরোধে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী। ২০১৮ সালের মধ্যে নদীর দূষণরোধে প্রাথমিক সুফল দেখা যাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
মঙ্গলবার রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এসোসিয়েশন ফর ল’ রিসার্চ এন্ড হিউম্যান রাইটস (এলার্ট) আয়োজিত ‘নদী ও আমাদের অর্থনীতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
নদী বাঁচাতে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়ে নৌ-মন্ত্রী বলেন, ‘নৌ-পথকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে। এরমধ্যে নদীর দখল ও দূষণরোধে সরকার নির্মম ও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
নদী খননের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেজারের প্রয়োজন উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বিআইডব্লিউটিএ’র জন্য ৭টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। এর পরে কোন সরকার আর কোন ড্রেজার সংগ্রহ করেনি।’
২০০৯ থেকে ২০১৩ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার আবার ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করে। বর্তমান মেয়াদে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।
দেশে এক সময় ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারগুলোর অবহেলার কারণে তা এসে বর্ষা মৌসুমে ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার এবং শুষ্ক মৌসুমে ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। তবে শেখ হাসিনার বিগত (২০০৯-১৩) মেয়াদে বিআইডব্লিউটিএ প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ খনন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌ-পথ খননের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২৪টি নৌ-পথ ও বিশেষায়িত ১২টি নৌ-পথ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নদী খনন ও নৌ-বন্দর উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিয়েছে। মংলা-ঘসিয়াখালি চ্যানেল পুনঃখনন করে নৌ-যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।’
ঢাকা সদরঘাটসহ ১৪টি ফেরিঘাট ও সংলগ্ন লঞ্চঘাটসমূহের ইজারাদারি ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে যাত্রী সেবা উন্নত করা হয়েছে এমনটি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার পোস্তগোলাস্থ শ্মশানঘাট এলাকায় একটি অত্যাধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।’ -বাসস।