‘ঢাকা কলেজের হল তো না, মনে হচ্ছে কবর’ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ
প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-০৯-২৩ ১৯:১৭:২৩
ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য আটটি হল রয়েছে কলেজটিতে। তবে, অধিকাংশ হল গুলোতে থাকার মতো পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। গণঅভ্যুত্থানের পর হলের পরিবেশ যেমন প্রত্যাশা করেছেন তেমন পরিবেশ তারা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে কলেজের বিভিন্ন হল ঘুরে দেখা যায় নানা সংকটের মধ্যে হলে উঠছে শিক্ষার্থীরা।
দক্ষিণ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বলেন, ভাই আমরা খুব কষ্টে আছি। আমাদের রুমে বিদ্যুতের কোনো সংযোগ নেই। রুমে লাইট, ফ্যান কিছুই নেই। জানালাগুলো ভাঙা। পাশেই ময়লার ড্রেন যার উপর কোনো ঢাকনা নেই। রুমে খুব গন্ধ আসছে এবং এখানে ডেঙ্গু মশার লার্ভা দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা কিভাবে এখানে থাকবো। একজন ছাত্র এখানে থেকে পড়াশোনা করবে এরকম পরিবেশ এখানে নেই। তিনি অভিযোগ করেন, কলেজ প্রশাসন ৬৭ দিন পর হল খুলে দিয়েছে। এর মধ্যে কেনো রুমের সংস্কার করা হলো না। আমরা পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়েছি তারপর ও রুমগুলো ঝাড়ু পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
দক্ষিণ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিমেল বলেন,মনে হচ্ছে কবরে আছি। এখানে কোনো বিদ্যুতের সংযোগ নেই। আমাদের রুমে বিদ্যুতের তারাগুলো ঝুলে আছে যা আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ন। আমাদের রুমে যে চকি আছে তাতে একজন থাকতে পারবে। সিঙ্গেল চকি দিয়েছে আমরা এখানে কিভাবে দুইজন ঘুমাবো। এতো সমস্যা নিয়ে কিভাবে আমরা থাকবো। আমাদের দাবি কলেজ প্রশাসন যেন খুব দ্রুত আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়েছি। এখন হল প্রভোস্ট বলছে আমরা নিজেদের টাকা দিয়ে বিদ্যুতের লাইন ঠিক করতে। আমাদের টাকা দিয়ে বৈদ্যুতিক মালামাল কিনতে এবং লাইট,ফ্যান ও আমাদের কিনতে হবে। শুধু তাই নয় রুমের রংগুলো খসে পরছে। এমন টা আমরা প্রত্যাশা করিনি।
অন্যদিকে দক্ষিণায়ন হলের আবাসিক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বৈদ্যুতিক লাইন মোটামুটি ঠিক আছে এবং অন্য কোনো সমস্যা তেমন নেই। কিন্তু আমাদের ভয় হচ্ছে। ছাত্রদলের পরিচয়ে লোকজন এসে সিট পরিবর্তন করতে চায়। আমাদের সাথে জোর করে। তারা রুমগুলো দখলে নিতে চায়। আমরা ভয়ভীতির মধ্যে আছি।
দক্ষিণ হলের প্রভোস্ট আনোয়ার মাহমুদ বলেন, আমরা ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করছি। আমাদের আরও সময় দিতে হবে। প্রত্যেক রুমে একটি করে ফ্যান দেওয়া হয়েছে আজকে। বিদ্যুতের কাজগুলো আমরা করে দিবো কিন্তু সেটা রুমের দরজা পর্যন্ত। রুমের ভিতরের কাজগুলো ছাত্রদের করে নিতে হবে। রুমের জানালা ভাঙা, দরজা ভাঙা এই সব অভিযোগ ঠিক আছে। আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো করে দিবো। ছাত্রদের ধৈর্য ধরতে আমি অনুরোধ করছি।
এএ