পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল
আপডেট: ২০২৪-০৯-২৮ ১৮:০২:২৩
পাঠ্যপুস্তক সংশোধনে গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সকল পাঠ্যপুস্তক সংশোধন এবং পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে সমন্বয় কমিটি গঠিত করে। সেই কমিটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হল।
কিছুদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব (সরকারি মাধ্যমিক-২) মো. ইয়ানুর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনে ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্যসচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন- শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবি শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান।
তবে কমিটি গঠনের পর থেকে আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি বৈঠকে সমন্বয় কমিটিতে ইসলামিক স্কলারদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলা হয়।
ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত এবং মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু কমিটিতে কোনো ইসলামিক স্কলারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সমন্বয় কমিটির কার্য পরিধির ৪ ও ৬ নম্বর ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ে ধর্মীয় মতাদর্শ ও নৈতিক মূল্যবোধ যথাযথ আছে কি না সেটা যাচাই করতে বলা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু ও প্রদত্ত ছবি, ডায়াগ্রাম, তথ্য ইত্যাদি রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে স্পর্শকাতর বলে প্রতীয়মান হলে সেগুলো চিহ্নিত করে তার বিপরীতে মতামত দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা মনে করি এসব বিষয়ে সংশোধন, পরিমার্জন ও মতামত দেয়ার জন্য সমন্বয় কমিটিতে প্রচলিত জ্ঞানের পাশাপাশি ধর্মীয় গভীর জ্ঞানে সমৃদ্ধ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত জরুরি।
বিএইচ