১ দফা দাবিতে সড়কে শুয়ে পরলেন বিনিয়োগকারীরা

আপডেট: ২০২৪-১০-০৩ ১৭:৪৫:৫৭


নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে মূল সড়কে শুয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকেবিনিয়োগকারীরা আগারগাঁওয়ের বিএসইসি ভবনের সামনে মূল সড়কে শুয়ে দাবি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বিনিয়োগকারী বান্ধব নন। তার দেড় মাসের মেয়াদে টানা ভুল সিদ্ধান্তে লোকসানে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

ব্যাংকখাত উদ্ধারে প্রণোদনা দেয়া হলেও পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো কার্যকরী সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি বলেও অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। তারা বলেন, ব্যাংকখাতের উন্নয়নে টাস্কফোর্স করা হয়েছে; সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু পুঁজিবাজারের জন্য সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।

বিনিয়োগকারীদের অবস্থানের কারণে বিএসইসি ভবনের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তারা মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন বিনিয়োগকারীরা।

আন্দোলনকারী বিনিয়োগকারীদের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি রুহুল কবির।

রুহুল কবির বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার শান্ত হোন। আপনাদের দাবিগুলো প্রয়োজন হলে অর্থ উদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হবে। এছাড়া আপনাদের সাথেও অর্থ উপদেষ্টার আলোচনার চেষ্টা করা হবে।

এর আগে সকালের বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীর ব্যানারে ডিএসই এর পুরাতন ভবনের সামনে মানববন্ধন করছেন তারা।

মানববন্ধন শেষে বিএসইসির উদ্দেশ্যে লংমার্চ কর্মসূচির মাধ্যমে বিএসইসি ভবনের সামনে জড়ো হন তারা।

বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস  ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার।

তবে বিশ্লেষকরা এটাকে কৃত্রিম বলে মনে করছেন। তাদের দাবি, বাজারকে কৃত্রিমভাবে ইতিবাচক প্রবণতায় ফেরানো হয়েছে। এই ইতিবাচকতা কোনো ভাবেই বাজারের জন্য স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বিনিয়োগকারীকে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেন বিনিয়োগকারীরা।

তারা জানান, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং মূলধন হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই বিএসইসির চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে।

এসকেএস