সমাজের সব স্তরের বৈষম্য দূর করে যাকাত: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-১০-০৫ ১৮:১৮:১৮
‘যাকাত ব্যবস্থা যদি আসলেই পুরোপুরি কার্যকর হতো তাহলে শিক্ষার সমান সুযোগ তো বটেই বাংলাদেশে চরম দারিদ্রের অবসান হতো। এমনকি মধ্যম লেভেলের দারিদ্রও থাকতো না। উচ্চবিত্তরা ঠিকমতো যাকাত পরিপালন করলে কোনো দেশেই বড় বৈসম্য থাকবে না। তবে আমি মনে করি যাকাতের অর্থ ব্যবহারের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট খাত হলো শিক্ষা। শুধু শিক্ষা নয় সমাজের সব স্তরের বৈষম্য দূর করে যাকাত।’
আজ শনিবার ঢাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্ন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক বৈষম্য আছে। প্রথমত আমাদের মতো দেশের বাজেটে শিক্ষা খাতে যতটুকু বরাদ্দ থাকা উচিত তা থাকে না। এটা সরকারের ঠিক দোষ বলব না। কারণ দেশের রাজস্ব আয় এতোটাই কম যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা সমাজ সেবাতেও তার প্রভাব পড়ে। তারপরও যা বরাদ্দ হয় সেখানে যে বৈষম্য নিরোধ করা গেছে তা বলবো না। একটি কল্যাণমুখী সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব যেকোনো শিশু যে কোনো আর্থিক অবস্থা থেকেই আসুক না কেন তার সমান ও মানসম্পন্ন শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র সেটা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। যেটুকু অর্থ বরাদ্দ হয় সেখানেও অপচয় ও অপব্যয় হয়। সঠিক জায়গায় ব্যয় করা হয় না।’
সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইন্সটিটিউটের স্নাতক ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত অস্বচ্ছল এক হাজার আটশত অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে ২.৫ বছরব্যাপী মাসিক ৪০০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করছে। এসব বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে অ্যাওয়ার্ড পত্র তুলে দেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
ঢাকার ইনস্টিটিউটি অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মামুন আহমেদ খান, সিজেডএম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদ্য গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া-সহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা অঞ্চলের প্রতিষ্ঠান সমূহের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদশে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ-মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৪২০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তির অ্যাওয়ার্ড পত্র তুলে দেওয়া হয়।
বিএইচ