জবিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ,ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটক ৪

প্রকাশ: ২০১৬-১০-২২ ১১:৩১:২৩


JNUজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভূক্ত) ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে এক পরীক্ষার্থীসহ আটক ৪ ।গতকাল শুক্রবার বিকেলে পরীক্ষার সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, প্রশ্নপত্রসহ ক্যাম্পাস সংলগ্ন পোগোজ ল্যাবরেটরী স্কুল কেন্দ্রে প্রবেশ করার সময় দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসার পরে বাংলা বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফ আহম্মেদ লিখনকে আটক করে । জানা যায় সাইফ আহম্মদ লিখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসের আশেপাশে অভিযানের সময় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিসিএস কনফিডেন্স কোচিং সেন্টারে এক জন পরীক্ষার্থী থাকায় কোচিং পরিচালক মফিজুর রহমান রনিকে আটক করে। জানা যায় , ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নে ডাবল লেয়ারিং কোড সহ কড়াকড়ি আইনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রশ্ন পত্র সরবরাহের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু শিক্ষক ও কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রশ্নপত্র জালিয়াতি চক্রের কাছে সরবরাহ হয় ।

জালিয়াতি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপ ও ইমোর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে। আটকরা হলেন-আবদুর রহমান (পরীক্ষাথী),পিতা- রিয়াজুল ইসলাম,থানা –সুন্দরগঞ্জ,জেলা-গাইবান্দা; মোস্তাক আহম্মেদ (পরীক্ষাথী),পিতা -আব্দুল বাতেন,থানা ও জেলা নরসিংদি; সাইফ আহম্মেদ লিখন (ছাত্রলীগ নেতা ) থানা-রাজাপুর ,জেলা – ঝালকাঠি; মফিজুর রহমান রনি ( কোচিং পরিচালক) পিতা -রেজাউল হক থানা দেীলতপুর ,জেলা কুষ্টিয়া।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে চার জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের নির্বাহি ম্যাজিস্টেট মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক আটককৃতদের দুই বছর কারাদন্ড প্রদান করেন।

এবার ‘এ’ ইউনিটের ৮২৫টি আসনের বিপরীতে ৬৪ হাজার ৩০৬ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত একযোগে ৩১টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সানবিডি/জবি/ইসমাইল/এসএস