শেখ হাসিনা বারবার পালায় : নাজিম উদ্দিন আলম

জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২৪-১০-১২ ০০:৫২:৫১


বিএনপি নেতা ও ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম বলেছেন, শেখ হাসিনা শুধু ২০২৪ সালেই পালিয়ে যাননি, তিনি ১৯৮১ সালের ৩০মে আখাউড়া থেকে বোরকা পরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ১/১১’র সময় ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের ধমক খেয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তখন বেগম জিয়া পালিয়ে যাননি। তিনি বলেছেন, আমার জম্ম হয়েছে বাংলাদেশে, মৃত্যুও হবে বাংলাদেশে। বিএনপি এদেশের মাটি ও মানুষের দল।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে চরফ্যাশন সদর রোডে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় নাজিম উদ্দিন আলম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানান।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নোবেল জয়ী ড. ইউনূসকে এবং বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে চুবানোর হুমকি দিয়েছেন, ছাত্রদেরকে রাজাকার বলেছেন, যার কারণে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫আগষ্ট শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল উল্লেখ করে তিনি আওয়ামী লীগের সময়ে পাচার হওয়া সকল টাকা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনারও দাবি জানান।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আ.ন.ম আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ মিয়ার সভাপতিত্বে এবং যুবদল নেতা ও চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম দুলালের সঞ্চালনায় এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া।

আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশ্রাফুর রহমান দিপু ফরাজী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মীর শাহাদাত হোসেন ছায়েদ, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম আসলামী, উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সভাপতি সোহাগ, ছাত্রদল নেতা আলী মুর্তজা, পৌর যুবদল নেতা সৈকত মালতিয়া ও সেলিম, পৌর ছাত্রদল নেতা ইউছুফ হোসেন আবির প্রমুখ।

বিএইচ