বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-১০-১৩ ১৩:৩৫:০৫
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও ধোঁয়া রয়েছে হাসপাতালের কক্ষে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয়রা যে যেভাবে পারছে আগুন নিয়ন্ত্রণে ও আটকে পড়া রোগীদের উদ্ধারে সহায়তা করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল সোয়া ৯ টার দিকে মেডিসিন ভবনের পেছনে একটি বৈদ্যুতিক তারে আগুন লাগে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালের স্টোর রুমে সংরক্ষণ করা তুলায়। এ সময় পাঁচতলা বিশিষ্ট পুরো মেডিসিন ভবন জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে ভাবে পারে উদ্ধার করে রোগীদের।
এদিকে, সময় টেলিভিশনের ক্যামেরায় হাসপাতালের অধিকাংশ অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র অচল হিসেবে ধরা পড়ে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানায় খোদ হাসপাতালের কর্মীরাই।
সজিব নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘হাসপাতালের পেছনে হঠাৎ ধোঁয়া দেখতে পাই। পরে গিয়ে দেখি সেখানে একটি বিদ্যুতের তারে আগুন লেগেছে। এরপর বালু দিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। পরে আগুন স্টোর রুমে থাকা তুলায় ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।’
একাধিক রোগীর স্বজনরা জানায়, আগুন লাগার পর সবাই নানা দিকে ছুটতে থাকে। এ সময় অনেকেই রোগীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। রোগীদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কাজ করেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা। তাদের ৯টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে। উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীদের। আর এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানায় পুলিশ।
বরিশাল কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হয়নি। হাসপাতালের স্টোর রুমের আশপাশের চারটি রুমে চার জন রোগী ছিলেন। তাদের নিরাপদে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, টানা দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বর্তমানে আগুন ও ধোঁয়া পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কি কারণে আগুন লেগেছে তদন্ত করে দ্রুত জানানো হবে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা চলছে। সব রোগীদের উদ্ধার করে নিরাপদে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ভবনে রোগী ভর্তি ছিল ৫ শতাধিকের উপরে। এর আগেও দুই বার হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কাগজে কলমে এক হাজার শয্যার হাসপাতালটিতে গড়ে দুই হাজার রোগী ভর্তি থাকে।
বিএইচ