বাংলাদেশে বিবাহিত কিশোরীদের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ

আপডেট: ২০১৬-১০-২৬ ১৭:৩৬:১৬


kishoriবাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এখনো বহু কিশোরীর বিয়ের হয়ে যাচ্ছে ১৪ বছরের মধ্যে। সেইসাথে তারা ঝরে পড়ছে স্কুল থেকে।

প্রায় সাড়ে চার হাজার বিবাহিত কিশোরীর উপর গবেষণার পর এমন তথ্য দিচ্ছে কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত ‘ইমেজ’ নামের একটি প্রকল্প।

ইমেজ-এর প্রকল্প পরিচালক ফারহানা জেসমিন হাসান বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা দেখেছি বিয়ের গড় বয়স ১৪ বছর। তার মধ্যে ১৩ থেকে ১৫ বছরে বিয়ে হয়ে হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে ৯২ শতাংশ স্কুল থেকে ঝড়ে পড়েছে।”

এর মধ্য দিয়ে’ইমেজ’ মূলত কিশোরীদের ক্ষেত্রে বিয়ের পর তাদের জীবনে, স্বাস্থ্য, প্রজনন ও আর্থিক বিষয়ে কতটা অধিকার পাচ্ছেন- সেসব বিষয়কে তুলে আনতে চেয়েছে।

তিনি আরও জানান, ৬০ ভাগ কিশোরীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা বাড়িতেই তাদের সন্তান প্রসব করে থাকে অদক্ষ ধাত্রীর হাতে। এই কিশোরী মেয়েদের বিয়ের ফলে অল্পবয়সে বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়।

“পরিবারে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয় কিশোরী মেয়েটির ওপর সংসারের প্রচণ্ড চাপ আসে । সেইসাথে বিয়ের পরপরই গর্ভধারণের জন্য চাপ আসে” বলছিলেন মিজ হাসান ।

এইসব কিশোরীরা সিদ্ধান্ত নেয়ার কিংবা আর্থিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ পায়না।

গবেষকরা জানান, বিবাহিত কিশোরীদের বেশিরভাগ যেহেতু স্কুল থেকে ঝরে যায় তাই পরবর্তীতে কাজে যাওয়ার সম্ভাবনা তাদের থাকে না। একা একা বাইরে বের হওয়ার অধিকারও হারায় বহু বিবাহিত কিশোরী। সেক্ষেত্রে কাজের সুযোগ কিংবা কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না তাদের।

সূত্র : বিবিসি বাংলা