ইবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
প্রকাশ: ২০১৬-১০-২৬ ১৭:৪৯:২৮
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বেলা দেড় টার দিকে সাদ্দাম হোসেন আবাসিক হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা সোয়া এক টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান অনুষদ ভবন থেকে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী ধর ধর চিৎকার করতে করতে দৌঁড়াতে থাকে। সাদ্দাম হোসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খাঁন সাগরের নেতৃত্বে তারা চিৎকার করতে করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটোরিয়ায় আসে। সেখানে ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মিজু গ্রুপের কর্মীরা গান বাজনা করতেছিল। গান বাজনা করতে দেখে সাগর তার কর্মীদের নিয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের সামনে এসে অবস্থান নেয়।
পরে বেলা দেড় টার দিকে মিজু গ্রুপের কয়েকজন কর্মী সাদ্দাম হোসেন হলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সাগরের কর্মীদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। সেখান থেকে মিজু গ্রুপের কর্মীরা একত্রিত হয়ে সাগরের কর্মীদের ধাওয়া দেয়। সাগর গ্রুপের কর্মীরাও পাল্টা ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে মিজু গ্রুপের ধাওয়ায় সাগরের কর্মীরা সাদ্দাম হোসেন হলে গিয়ে ক্লপসেবল গেট আটকিয়ে দেয়। এসময় ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা সেখানে দ্রুত সরে গিয়ে স্ব স্ব হলে অবস্থান নেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিবেশ স্বাভাবিক করে।
এদিকে শান্ত ক্যাম্পাসকে অশান্ত করতে কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইন্ধনে ছাত্রলীগ নেতা সাগর ক্যাম্পাসে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও মিজু গ্রুপের কর্মী অনিক বলেন, ‘মিজু ভাই এবং আরাফতকে নিয়ে কটুক্তি করায় আমরা তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে হলে ঢুকিয়ে দিয়েছি।’
অপর গ্রুপের কামরুজ্জামান খাঁন সাগর বলেন, ‘আমাদের দলীয় কাজে বাধা দেওয়ায় আমরা তাদেকে ধাওয়া দিয়েছি।’
প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিবেশ স্বাভাবিক করেছি। বর্তমানে ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে। ক্যাম্পাসে কোন ভাবেই শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।’