বৈষম্যহীন সমাজ গঠন এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঐক্যের বিকল্প নেই: জামায়াত আমির

সানবিডি২৪ প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২৪-১০-১৮ ১৭:৪৭:৪৪


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্র-জনতা বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রত্যাশায় জীবন ও রক্ত দিয়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে নতুন করে স্বাধীন করেছে। আমরাও একটি বৈষম্যহীন সমাজ চাই। সমাজের সকল স্তর থেকে বৈষম্য দূর করতে চাই। আর এজন্য ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। গণতান্ত্রিক দেশে ভিন্ন দল ও মত থাকতে পারে। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর দ্বীন কায়েমে সকল ইসলামী দলকেও সকল ভেদাভেদ ভুলে এক হতে হবে।

তিনি বলেন, ইসলাম বিদ্বেষীরা যদি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এক বাক্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, তাহলে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলন যারা করে তারা কেন এক হতে পারবে না। এর একটি মাত্র কারণ। সেটি হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষীরা আমাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করতে ঐক্যবদ্ধ হতে বাঁধা সৃষ্টি করছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কারো উপর জোর করে ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া ইসলামী রাষ্ট্রের কাজ নয়। এটি ইসলাম বিদ্বেষীদের অপপ্রচার উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র একটি আধুনিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র। যেখানে মানুষ হিসেবে সকলই দেশের নাগরিক এবং সকলের অধিকার সমান। কোন বৈষম্যের সুযোগ ইসলামী রাষ্ট্রে নাই।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের তৈরি করা সিন্ডিকেট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো ভাঙ্গতে পারেনি। ফলে জনমনে ভয় ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বাজারে বিশৃঙ্খলার সিন্ডিকেটই শুধু নয়, রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানে এবং প্রশাসনের স্তরে স্তরে চলছে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের সিন্ডিকেট। তারা ছাত্র-জনতার বিপ্লব মেনে নিতে পারছে না। তারা চাচ্ছে আবারও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দোসররা কতটা বোকা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেখানে দলের সভানেত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে, দল ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে, দলের অস্তিত্বই নেই সেখানে কেন তারা দিবাস্বপ্ন দেখে তারা নিজেরাও বলতে পারবে না। জনগণ চেয়েছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, আর সে করছে দেশ ত্যাগ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শিক্ষিত বেকার শব্দটি বাংলাদেশ থেকে চিরতরে মুছে ফেলা হবে। আগামীতে কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। জামায়াতে ইসলামী দেশ পরিচালনা দায়িত্ব পেলে শিক্ষা জীবন শেষে শুধু সনদ নয় শিক্ষিত যুবকদের কাজ দেওয়া হবে। কোন শিক্ষিত যুবক চাকুরীর জন্য আন্দোলন করতে হবে না। ইসলামী রাষ্ট্রের মূল কাজই হচ্ছে জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল যথাক্রমে মাওলানা এটিএম মাসুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম খান মিলন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মো: সেলিম উদ্দিন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, আব্দুর রব, মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, এডভোকেট মশিউল আলম, মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রিয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী মো. দোলোয়ার হোসেন, মু. কামাল হোসাইন ও ড. মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ ফরিদ হোসাইন, অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, মো. শামসুর রহমান, এডভোকেট এস.এম. কামাল উদ্দিন, ড. মোবারক হোসেন, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ফরিদুল ইসলাম, অধ্যাপক নুরনবী মানিক, আবদুস সালাম, মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, শেখ শরীফ উদ্দিন আহমদ, আবু ওয়াফী, আমিনুর রহমান, আবদুর রহমান, কামরুল আহসান হাসান, সৈয়দ সিরাজুল হক, মো. শহিদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর নেতৃবৃন্দ।

এম জি