পাহাড়ি ঢলে গৃহহারা দেড় হাজার পরিবার আর্থিক সংকটে, মানবেতর জীবনযাপন

জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-১০-২২ ১৭:০৯:০৮


শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলাতে পাহাড়ি ঢলে গৃহহারা ১হাজার ৫শত পরিবার আর্থিক সংকটে ঘুরে দ্বারাতে পারছেন না। পারছেন না বিধ্বস্ত ঘরগুলো পুনর্নির্মাণ করে মাথাগোজার ঠাই করে তুলতে। ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। টাকা পয়সার অভাবে নতুন করে বিধ্বস্ত ঘর-বাড়ী নির্মাণ করতে না পেরে অনেকে খোলা আকাশের নিচে,আবার অনেকেই অন্যের বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ৪ দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় হতদরিদ্র শতাধিক আদিবাসী পরিবারসহ সম্পূর্ণ বা আংশিক ১ হাজার ৫ শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পরে।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অর্থশালী গৃহহীনরা কোনভাবে ঘুরে দ্বারাতে সক্ষম হলেও হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবারের লোকজন এখনো ঘুরে দ্বারাতে পারেনি।

উপজেলার বারোয়ামারি গ্রামের নির্দেশ সাংমার একটি থাকার ঘর বনিন মারাকের ৪টি ঘর,মরিয়মনগর গ্রামের বিধবা নারী বনিতা চিরান এর ২টি ঘর,প্রদিন চিরানের ২ টি ঘর, মরিয়ম নগর গ্রামের বনিতা রাকসামের একটি ঘর, মাহিমা সাংমার একটি ঘর ও দুধনই গ্রামের আকবর আলীর ৪টি ঘর পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত হয়েছে।

আকবর নামের একজন শ্রমিক টাকা পয়সার অভাবে ঘরগুলো সংস্কার করতে পারেননি। তাই তিনি অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ওই সময় দুধনই গ্রামের সুলতান মিয়ার একটি ঘর, রেনু মিয়ার ৩ টি ঘর, ছালামের ১টি ঘর, বিধবা নারি ফতে বেগমের ১টি ঘর,ছানোয়ারের ২টি ঘরও বিধ্বস্ত হয়েছে।

হতদরিদ্র এসব গৃহহীন পরিবারের লোকজন তাদের ঘর-বাড়ী পুনর্নির্মাণের জন্য সরকারের পাশাপাশি দেশও দেশের বাইরের সুহৃদয়বান মানুষের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন,বন্যায় আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তসহ ১হাজার ৫ শত পরিবার গৃহহীন হয়েছে। তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বরাদ্দ পাওয়া গেলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

এম জি