২০১৭ সালে চাহিদা বাড়বে দৈনিক ১২ লাখ ব্যারেল
প্রকাশ: ২০১৬-১১-০১ ১০:৪০:৪৪
আগামী বছর বৈশ্বিক অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দৈনিক চাহিদা ১২ লাখ ব্যারেল বাড়তে পারে বলে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) জানিয়েছে। চলতি বছর পণ্যটির দৈনিক চাহিদা প্রবৃদ্ধি ছিল ১৮ লাখ ব্যারেল। খবর মার্কেট রিয়েলিস্ট ও ইনভেস্টটিং ডটকম।
আইইএ ২০১৭ সালের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত জ্বালানি তেলের বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে পুনঃভারসাম্য আসার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের অন্যতম ভোক্তা দেশ চীন। দেশটিতে জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নিম্নমুখী বাজারদরের কারণে দেশটিতে অভ্যন্তরীণভাবে পণ্যটির উৎপাদন কমেছে। এ অবস্থায় চীন জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়িয়ে তুলছে।
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে দৈনিক জ্বালানি তেলের আমদানি বেড়েছে ৮০ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল; এর পরিমাণ আগের মাসের চেয়ে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের চেয়ে এবার চীনে পণ্যটির আমদানি ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় উৎপাদন হ্রাসের পাশাপাশি চাহিদা বাড়ায় চীনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়তির দিকে রয়েছে। এদিকে তৃতীয়বারের মতো চীনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি যুক্তরাষ্ট্রকে অতিক্রম করেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দৈনিক আমদানির পরিমাণ ছিল ৭৯ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল।
প্লাটসের জরিপে চলতি বছর চীনের দৈনিক জ্বালানি তেল আমদানির গড় পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪ লাখ ব্যারেলে। এর পরিমাণ ২০১৫ সালে ছিল ৬৭ লাখ ব্যারেল। প্লাটসের হিসাবমতে, গত বছরের তুলনায় এবার চীনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি দৈনিক গড়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে।
২০২০ সাল নাগাদ চীন ৫০ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেলের মজুদ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে বলে ইআইএ জানিয়েছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেও দেশটি পণ্যটির আমদানি বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে প্লাটসের জরিপে চলতি বছরের শুরুতে চীনে ২৩ কোটি ৪৩ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেলের মজুদ ছিল বলে জানানো হয়েছে। যেখানে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে ১৯ কোটি ১৩ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল মজুদ হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমেছে, যা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির পর সর্বোচ্চ সাপ্তাহিক দরপতন। লন্ডনের আইসিই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে শুক্রবার ব্রেন্ট তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৭৬ সেন্ট কমে ৪৯ ডলার ৩১ সেন্টে লেনদেন হয়। এর আগে একই পরিমাণ পণ্য ৪৯ ডলার ৭১ সেন্টে বিক্রি হয়েছিল। গত সপ্তাহে ব্রেন্ট তেলের দাম কমেছে ২ ডলার ২৪ সেন্ট। এদিন নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে ডিসেম্বরে সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ১ ডলার শূন্য ২ সেন্ট কমে ৪৮ ডলার ৭০ সেন্টে লেনদেন হয়। গত সপ্তাহে ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।