“যারা মন্দির ভেঙেছে তারা স্রেফ অসুস্থ্য”

আপডেট: ২০১৬-১১-০১ ১১:২৫:২৪


bannaযেসকল গুণ্ডাপাণ্ডা মন্দির ভেঙ্গেছে তাঁদেরকে যারা নৈতিক ভাবে সমর্থন করেন তারা স্রেফ অসুস্থ, হ্যাঁ ঐ ছেলেটার মতই অসুস্থ যে ফটোশপে কা’বার ছবির উপর এডিট করে মুর্তি বসিয়েছে।

আমার স্ট্যাটাসে অনেকেই ইনিয়ে বিনিয়ে তাদের পক্ষ নেয়ার চেষ্টা করছেন, আপনাদের জন্য করুণা, আপনারা ইসলাম স্টাডি করে আসুন, আরও বেশী করে ইসলামকে অধ্যায়ন করুন, অমুসলিমের অধিকার সম্পর্কে জানুন।

ইসলাম কোন ভাবেই ভ্যাণ্ডালিজম সমর্থন করে না। আমি তো চিত্রপরিচালক, আমি আবার ইসলামের কি বুঝি? আমার কাছ থেকেও ইসলাম শিখতে হবে? এটাও ছিল আপনার কপালে!

যান, আলেম ওলামাদের গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ধর্মকে ফটোশপে অবমাননা করলে তার স্বগোত্রীয় নিরপরাধ মানুষদের ঘরবাড়ী লুট কিংবা প্রতিমা ভাংচুর করা যায় এমন কোন মাসালা ইসলামে আছে কি না।

হ্যাঁ, সে ভারি অন্যায় করেছে, সেই অন্যায়ের শাস্তি সরকার দিলে দিবে, না দিলে নাই। আপনি একারণে আইন নিজের হাঁতে তুলে নিতে পারেন না, না না, ভাংচুর তো আইন নিজের হাঁতে তুলে নেয়াও না, বরং বেআইনি ভাবে অন্যের সম্পত্তিতে আঘাত করা।

যে ছেলে করেছে এই কাজ তার শিক্ষা কতটুকু? কিংবা সত্যিই সে করেছে কি না তার নিশ্চয়তাকে দেবে? ফেইসবুকে তো একাউণ্ট হ্যাক করে আমার নামে যে কেউ পোষ্ট করতে পারে। তখন কি আপনারাও আমার পেছনে এরকম উন্মাদের মত ছুটবেন?

ইসলাম মানুষকে উন্মাদ বানায় না। রেসপন্সিবল বানায়। গিয়ে দেখেন যাদের কুকর্মের সাপোর্ট আপনারা করছেন তারা কেউই আপনার ভাই না… তারা সব এলাকার সুযোগ সন্ধানী লোক।

এরা ধর্ম মানে না, কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে হিন্দু মেয়েটাকে ভোগ করতে চায়, তারা নিজেরা ইসলাম মানে না, কিন্তু মালাউন গালি দিয়ে জমি দখল করতে ঝাঁপিয়ে পরে। গিয়ে দেখেন হয়ত সে আসলে মুসলিমই না, আল্লাহু আকবার বলে অন্য কারো স্বার্থ চরিতার্থ করতে মন্দিরে হামলে পরেছে।

এদেশে হিন্দুরা রাজনীতির নামে, ধর্মের নামে বারবার অধার্মিকদের হাঁতেই লাঞ্ছিত হয়েছে। বিশ্বাস করেন এই ভাংচুর করা মানুষেরা কেউ ধার্মিক মানুষ না। কেন না যারা সংখ্যালঘু নির্যাতন করে, তারা সবসময়ই রাজনৈতিক স্বার্থে ঘটনাগুল ঘটায়। দেশে দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগানোর জন্য এরা বারুদ সরবরাহ করছে। আর আপনিও ঘিলুহিন মস্তিষ্কে তাদের সাথে বেকুবের মত হৈ হৈ করছেন। নিজেও বিপদের গন্ধ টের পাচ্ছেন না।

আল্লাহর ওয়াস্তে মগজটা কারো কাছে বন্ধক দিয়েন না, খাটান, ধর্ম সম্পর্কে জানুন, স্টাডি করুন। আমি নিজেও দৈনিক ৪-৫ ঘণ্টা সময় করে ধর্ম দর্শন ও সাইকোলজি নিয়ে পড়াশুনা করছি। আপনারাও পড়ুন, জ্ঞান মানুষকে সহনশীল করে, সতর্ক করে এবং মানবিক করে। যদি জ্ঞান আপনাকে এরকম না বানায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার জ্ঞানর্জনের উদ্দ্যেশ্য ঠিক নাই, কিংবা যে জ্ঞান আপনি অর্জন করছেন তা ঠিক মত কাজ করছে না।

সন্ত্রাসীদের সাপোর্ট করা ছেড়ে দিন, সে ধর্মের নামে করুক আর রাজনীতির নামে করুক, সে আসলে আপনার কেউ না। এই সন্ত্রাসীরাই দেখবেন ভোল পালটে একদিন মসজিদে হামলা করবে, তখন আপনি তাঁদেরকে চিনতেও পারবেন না, কারণ আপনি আসলে তাঁদেরকে কোনদিনই চেনার চেষ্টা করেন নাই, বারবার আঙ্গুল তুলেছেন… সে আঙ্গুল নিজের দিকেই ঘুরে যাবে। সাবধান।

সূত্র: এইচ আল বান্নার ফেসবুক

সানবিডি/ঢাকা/এসএস