শীতে ওয়ালটনের অর্ধ-শতাধিক মডেলের হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস
প্রকাশ: ২০১৬-১১-০১ ১৬:৩৩:২৮
শীত আসছে। শুরু হয়ে গেছে শীতের প্রস্তুতিও। দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন এবারের শীতে ক্রেতাদের জন্য প্রস্তুত রাখছে অর্ধ শতাধিক মডেলের হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস। শীতকালে সাধারনত ঘর গৃহস্থালীর কাজে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স এ্যাপ্লায়েন্স দরকার হয়। সব মিলিয়ে এই সময়টায় হোম এ্যাপ্লায়েন্সের চাহিদাও থাকে বেশি। জীবন যাত্রার মান বাড়ায় এসব পণ্যের স্বাভাবিক চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।
জানা গেছে, শীতকালে সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স হোম এ্যাপ্লায়েন্সের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। ইদানিং মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নোয়নের ফলে পোশাকের পাশাপাশি বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে শীতকালীন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স হোম এ্যাপ্লায়েন্সের। আর এই বাড়তি চাহিদা মাথায় রেখেই ওয়ালটনের আগাম প্রস্তুতি।
শীতে যেসব গৃহস্থালী পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে তার মধ্যে রয়েছে ওয়াশিং মেশিন, রুম হিটার, ইলেকট্রিক কেটলি, ইলেকট্রিক ও মাইক্রোওয়েব ওভেন, রাইস কুকার, কারী কুকার, কফি মেকার, রুটি মেকার, ইন্ডাকশন কুকার, আইরন, ওয়াটার হিটার, হেয়ার ড্রায়ার ও স্ট্রেইটনার, ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স, ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক ইত্যাদি। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সহজে ব্যবহার উপযোগী এসব পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় ঘরে ঘরে প্রযুক্তি পণ্যের ছোঁয়া লেগেছে।
ওয়ালটন সূত্রমতে, ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত তিন মাসে ২০১৪ সালের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস বিক্রি হয়েছে। এবছরেও শীতকালীন ইলেকট্রনিক্স হোম এ্যাপ্লায়েন্সের সিংহভাগ বাজার নিজেদের দখলে নেয়ার টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কয়েক মাস আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। ঢেলে সাজানো হয়েছে মজুদ ব্যবস্থাপনা ও বিপণন কৌশল। ইতোমধ্যে, ওয়ালটন প্লাজা ও দেশের অন্যান্য আউটলেটগুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের অর্ধ-শতাধিক মডেলের হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস। এর মধ্যে আছে ৬ মডেলের ওয়াশিং মেশিন; ৭ মডেলের রুম হিটার; ২০টি মডেলের রাইস কুকার; ১৩ মডেলের ইলেকট্রিক ও মাইক্রোওয়েব ওভেন, ১২ ধরনের ইলেকট্রিক কেটলি; ১০ মডেলের আয়রন, ৩টি মডেলের ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক; ২ টি করে মডেলের হেয়ার ড্রায়ার ও স্ট্রেইটনার; রুটি মেকার, কারী কুকার ও ওয়াটার হিটার, এবং ১টি করে মডেলের ইন্ডাকশন কুকার, ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স, মপ সেট একং কফি মেকার ইত্যাদি। গ্রাহকদের রুচি, চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী এসব পণ্যের ডিজাইন তৈরি করছে ওয়ালটনের শক্তিশালী আরএন্ডডি (পণ্য উন্নয়ন ও গবেষণা) টিমের প্রকৌশলীরা। তারা পণ্যের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত কল্পে মান নিয়ন্ত্রণে অনুসরণ করছে জিরো টলারেন্স নীতির।
ওয়ালটন হোম এ্যাপ্লায়েন্স বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এবারের শীতকে সামনে রেখে ওয়ালটন পণ্য সম্ভারে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু নতুন এ্যাপ্লায়েন্সেস। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-ইন্ডাকশন কুকার, প্রেসার কুকার, লাঞ্চ বক্স ও কফি মেকার।
গত কয়েক বছর ধরে শীত আসলে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা যায়। গৃহিণীদের দৈনন্দিন রান্না-বান্নায় ব্যাপক কষ্ট পোহাতে হয়। ঘর-কন্যারা যাতে তাদের দৈনন্দিন রান্না-বান্নার কাজ নির্বিঘেœ চালিয়ে যেতে পারে, সেজন্য ওয়ালটন বাজারে নিয়ে এসেছে নিজস্ব কারখানায় তৈরি উচ্চমান সম্পন্ন ইন্ডাকশন কুকার। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ইন্ডাকশন কুকারে বিদ্যুৎ খরচ হয় খুবই কম। সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে সারা মাস রান্নায় যে টাকা খরচ হয়, তার অর্ধেকেরও কম খরচ হয় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ইন্ডাকশন কুকার দিয়ে রান্নায়।
বিক্রেতাদের মতে, এবারের শীতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে ওয়ালটনের ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স। বিশেষ করে চাকুরিজীবীরা এই লাঞ্চ বক্সে সহজেই খাবার গরম করে নিতে পারবেন।
ওয়ালটন হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্স এর প্রোডাক্ট ম্যানেজার মোঃ মাশরুর হাসান বলেন, চলতি বছর সারা দেশে ওয়ালটন হোম এ্যাপ্লায়েন্সের চাহিদা ও বিক্রি ব্যাপক বেড়েছে। আকর্ষণীয় ডিজাইন, উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন, সাশ্রয়ী মূল্য, সহজ কিস্তি সুবিধা এবং আইএসও স্ট্যান্ডার্ড বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করায় গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস।
উল্লেখ্য, দেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্স খাতে একমাত্র ওয়ালটনেরই রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় দুই হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী সারা দেশে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে কাজ করছে।