ই-মেইল কেলেঙ্কারি হিলারিকে কতটা বিপদে ফেলবে?
প্রকাশ: ২০১৬-১১-০১ ১৬:৪২:২৩
সেক্সটেপ, ইসলাম বিদ্বেষ, অভিবাসী বিরোধ—ইত্যাদি নিয়ে যখন টানা সমালোচনায় একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছিল রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির, তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল কেলেঙ্কারি নতুন করে মাথাচাড়া দেয়ায় জনমত জরিপের ট্রাম্পের পারদ আবার চড়েছে।
গত শুক্রবারই এফবিআই প্রধান জেমস কোমি ঘোষণা করেন, তার সংস্থা পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে হিলারির চালাচালি করা রাষ্ট্রীয় ই-মেইলগুলো নিয়ে আবারো তদন্ত করবে, সেখানে গোপনীয় কিছু ছিল কি না।
হিলারি ক্লিনটন অবশ্য মনে করছেন, এতে তিনি আগের বারের মত এবারও নির্দোষ প্রমাণ হবেন। কিন্তু নির্বাচনের মোটে কয়েকদিন বাকী থাকতে ডিরেক্টর কোমি কেন এমন একটি বিষয় সামনে আনলেন তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন হিলারি। তিনি কি নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করতে চান? এ ব্যাপারটিতে এবারই প্রথম হস্তক্ষেপ করল হোয়াইট হাউজ।
প্রেসিডেন্ট ওবামার মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট বলছেন, ডিরেক্টর কোমির সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে প্রেসিডেন্টের অবস্থান পরিবর্তিত হয়নি। প্রেসিডেন্ট মনে করেন না যে ডিরেক্টর কমি এই নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে চান।
রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পও মনে করেন, ডিরেক্টর কোমি ঠিক কাজই করেছেন। আর হিলারির সমর্থকেরা বলছেন, তাকে একা থাকতে দিন। কোন কোন সমর্থক মনে করেন, এতে হিলারির ভোট ব্যাংকে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আদতেই কি সেরকমটি হবে, যখন নির্বাচনের বাকী আছে আর মোটে ৭ দিন?
টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মেহনাজ মোমেন বলছেন, নিশ্চিত অঙ্গরাজ্যগুলোতে এর কোন প্রভাব পড়বে না। যারা ভোট দেয়ার তারা এরইমধ্যে মন ঠিক করে ফেলেছেন। কিন্তু ভাসমান বা সুইং অঙ্গরাজ্যগুলো, যেখানে ভগ্নাংশের হিসেবও ফলাফল বদলে দিতে সক্ষম, সেখানকার ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে এই কেলেঙ্কারি।
সানবিডি/ঢাকা.এসএস