শক্তি কমেছে নিম্নচাপের, ঘূর্ণিঝড় না-ও হতে পারে
প্রকাশ: ২০১৬-১১-০৫ ১০:৪১:১০
শক্তি কমে গিয়েছে বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটির। বৃহস্পতিবার থেকে গভীর নিম্নচাপটির শক্তি একটুও বাড়েনি। বরং গতি বেশি থাকায় এ দিন নিম্নচাপটি চলে যায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে। যে কোনও নিম্নচাপ উপকূলের কাছে এলেই তার শক্তি কমতে শুরু করে। আবহাওয়াবিদদের উদ্ধৃতি দিয়ে আনন্দবাজার এ খবর প্রকাশ করেছে।
নিম্নচাপটিটি আদৌ ঘূর্ণিঝড় ‘নাডা’য় পরিণত হবে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদেরা। তারা জানান, বায়ুপ্রবাহের দিক বদলে গভীর নিম্নচাপটি যদি ফের উপকূল থেকে অনেকটা দূরে গেলে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। এটা না হলে গভীর নিম্নচাপটি থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হলে গতিপথ একই থাকবে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে এসে সেটি বাঁক খেয়ে চলে আসবে চট্টগ্রামের দিকে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হওয়ায় বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ কম হবে। এতে ফলে কমে যাবে বিপদের আশঙ্কাও।
আবহাওয়াবিদেরা জানান, শনিবার গভীর নিম্নচাপটি সামান্য শক্তিবৃদ্ধি করে অতিগভীর নিম্নচাপ হিসেবে বাংলাদেশ দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকতে পারে। কিন্তু সেখানেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অনেক কম।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদধ বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটারে যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।