ওয়ালটন বাংলাদেশের আইকন
প্রকাশ: ২০১৬-১১-০৫ ১৭:৫৫:১৮
ওয়ালটনকে বাংলাদেশের আইকন বলে আখ্যায়িত করছেন বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। ওয়ালটন কারখানায় পরিবেশ বান্ধব ও বিদ্যুত সাশ্রয়ী গ্রিন রেফ্রিজারেটর প্রকল্পের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, বিশ্বের লেটেস্ট প্রয়ুক্তির ফ্রিজ আমরা উতপাদন করছি। একে এতিহাসিক মুহুর্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য গর্বের ও আনন্দের বিষয়। আজ থেকে বাংলাদেশ এক নতুন যুগের সূচনা করলো।
বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আজ শনিবার (৫ নভেম্বর) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানায় গ্রিন রেফ্রিজারেটর প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক রইচ উল আলম মন্ডল, ইউএনডিপির এ্যাসিসটেন্ট কান্ট্রি ডিরেক্টর খুরশিদ আলম, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান, মো: হুমায়ন কবীর, সিরাজুল ইসলাম, আশরাফুল আম্বিয়া, অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, কর্নেল (অব.) এসএম শাহাদাত আলম প্রমূখ।
এর আগে ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছলে তাঁকে স্বাগত জানান ওয়ালটনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। উপমন্ত্রী প্রথমে ওয়ালটনের প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার পরিদর্শন করেন। এরপর এইচএফসি গ্যাস মুক্ত গ্রিন রেফ্রিজারেটর উতপাদন ইউনিটের উদ্বোধন করেন। তিনি সরেজমিনে ওয়ালটনের অন্যান উতপাদন ইউটিন পরিদর্শন করেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করে আমি অভিভূত, আনন্দিত, উজ্জ্বীবীত। ওয়ালটন মডার্ন টেকনোলজি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব পণ্য উতপাদন করছে। টেকসই পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ায় বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে। তিনি যোগ করেন, এক সময় যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলে অপবাদ দিতো তারাই আজ বলছে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সুখী সুন্দর পরিবেশ বান্ধব বাংলাদেশ আমরা গড়বই।
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক এক গ্রাম কেমিক্যালও ওয়ালটন ব্যবহার করে না। পরিবেশের প্রতি আমরা সবসময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তিনি বলেন, ওয়ালটনের লক্ষ্য বাংলাদেশী ব্র্যান্ড হিসেবে এই ব্র্যান্ডকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডের মর্যাদায় নিয়ে যাওয়া। এজন্য বিশ্বের শীর্ষ বানিজ্যমেলাগুলোতে আমরা অংশ নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, জলবায়ু উষ্ণায়নের জন্য দায়ী এইচএফসি গ্যাসের নিঃসরণ বন্ধে বিশ্ব নেতারা চলতি বছরের ১৪ই অক্টোবর রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে একমত হন। অথচ অনেক আগে থেকেই ওয়ালটন কারখানায় এইচএফসি গ্যাসের বিকল্প আর৬০০এ গ্রিন গ্যাসের ব্যবহার শুরু হয়েছে। আর আগে ২০১২ সাল থেকেই এইচসিএফসি গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করে দেয় ওয়ালটন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, গ্রিন টেকনোলজি ব্যবহার তথা পরিবেশ-বান্ধব টেকসই শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষকাতারে নিজেদের নাম লেখালো।
আর৬০০এ বিশ্বে গ্রিন গ্যাস হিসেবে স্বীকৃত। এটি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুত সাশ্রয়ী। এটি ওজোন স্তরের জন্য ক্ষতিকারক নয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইচ উল আলম মন্ডল জানান, ইউএনডিপি এবং ইউএসএআইডি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ২০১৫ সালে ফ্রিজে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক এইচএফসি গ্যাসের পরিবর্তে গ্রীন গ্যাস আর৬০০এ গ্যাস ব্যবহারের প্রকল্প হাতে নেয়। যার সফল বাস্তবায়ন হলো আজ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে একটা নতুন যুগের সূচনা হলো। ভবিষ্যতেও ওয়ালটনের জন্য আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।