ডিএসইতে কমলেও সিএসইতে বেড়েছে সূচক
প্রকাশ: ২০১৬-১১-০৮ ১৭:৪২:৫৯
টানা তিন কার্যদিবস সূচকের ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতায় লেনদেনের পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (০৬ নভেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক, লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
তবে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বাজারের এ অবস্থাকে মূল্য সংশোধন বলে মনে করেন। তারা বলছেন, উত্থানের পর পতন, এটা পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক নিয়ম। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।
রোববার (০৭ নভেম্বর) সূচকের নিন্মমুখি প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়ে চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এরপর আইসিবিসহ কয়েকটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মার্কেট সার্পোটের ফলে সূচক বাড়তে শুরু করে। যা দিনের লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। দিন শেষে ডিএসইতে সূচক কমেছে ০.৪৮ পয়েন্ট। তবে সিএসইতে বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট।
ফলে টানা তিন কার্যদিবস সূচক বাড়ার পর ডিএসইতে সূচক পতন হলো।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ১৩ কোটি ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৯টি সিকিউরিটিজের হাত বদল হয়েছে। টাকার অংকে ৪৬৮ কোটি ৬৮ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিলো ৫০৩ কোটি ৭৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪৫৭ কোটি ৪ লাখ ৪৮ লাখ টাকার।
রোববার ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ০.৪৮ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৬৭২.৩৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ০.৯৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৫৬.৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে ডিএসইএ শরীয়াহ্ সূচক ০.৮৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১৮.৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৪টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টি কোম্পানির শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৫.৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৭৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ২১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭২ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪০ টাকার।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৬টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ৯২টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ার।