বিজিএমইএ নিজ ভবন না ভাঙলে ভাঙবে রাজউক
প্রকাশ: ২০১৬-১১-০৮ ১৮:০১:৩১
তৈরি পোশাকশিল্প প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ‘বিজিএমইএ কমপ্লেক্স’ ভাঙার আদেশসংক্রান্ত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে অবিলম্বে ওই ভবন নিজ খরচায় ভাঙতে বিজিএমইএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজিএমইএ এই নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ওই ভবন ভাঙতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৩৫ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ পায়। এর আগে গত ২ জুন বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএর করা আপিল আবেদন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ খারিজ করে দেন।
হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল খারিজ করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করার পর এখন বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আর বাধা থাকল না। আজ প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, বেগুনবাড়ি খাল ও হাতিরঝিল লেকের ওপর জলাশয়ে অবস্থিত বিজিএমইএ কমপ্লেক্স নিজ খরচায় অবিলম্বে ভেঙে ফেলার জন্য বিজিএমইএকে নির্দেশ দেওয়া হলো। বিজিএমইএ এই নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে রায়ের কপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজউককে ভবন ভাঙতে নির্দেশ দেওয়া হলো। সে ক্ষেত্রে ভবন ভাঙার যাবতীয় খরচ বিজিএমইএর কাছ থেকে নিতে বলা হলো।
২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, রাজউকের অনুমতি ছাড়া বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এটি আদালতের দৃষ্টিগোচর করা হলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। পরে এই মামলার জন্য হাইকোর্ট কয়েকজন অ্যামিকাস কিউরি নিযুক্ত করেন। তাঁরা আদালতে বক্তব্য দেন। জমির মালিকানা না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করে হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভবনটি ভেঙে ফেলতে রায় দেন এবং জলাধার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বলেন। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ আপিল করে। কিন্তু তাদের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।