ভাংচুর আন্দোলনের জেরে তুসুকা কারখানার ২৩৯ শ্রমিক ছাঁটাই

সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৪-১১-০৮ ০৯:২২:০১


গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা গ্রুপের ৬টি কারখানা এক সপ্তাহ আগে ভাংচুর ও শ্রমিক আন্দোলনের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ থাকা অবস্থায় ওইসব কারখানার ২৩৯ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। ছাঁটাইয়ের খবরে শ্রমিকেরা সকাল থেকে কারখানার সামনে ভীড় করছেন। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সকালে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের একটি তালিকা কারখানার প্রধান টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।

তুসুকা কারখানার শ্রমিক মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ছাঁটাইয়ের খবর শুনে  সকালে কারখানার গেটে গিয়ে দেখি আমার নামও তালিকায় রয়েছে। আমার কি দোষ তাও আমি জানিনা। আন্দোলনের দিন আমার ডিউটি ছিল রাতের শিফটে। আমি ওই আন্দোলনে জড়ীত নই। ওইদিন অন্য কারখানার শ্রমিকেরা হাঙ্গামা করছে, আর চাকরি গেল আমার।

গাজীপুরে তুসুকা গ্রুপের অনির্দিষ্টকালের জন্য জন্য বন্ধ ঘোষণা ৬ কারখানা হলো কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা গ্রুপের তুসুকা জিন্স লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড এবং তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড। শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই ৬ টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর কারখানায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ২৩৯ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে।

তুসুকা ট্রাউজার লিমিটেড কারখানার অপারেটর ওমর আলী বলেন, আমার কোনো অপরাধ নাই, তারপরও আমার নাম ছাঁটাইয়ের তালিকায় দেখতে পেয়েছি। আবার নতুন করে চাকরি খোঁজতে হবে।

শ্রমিক বিল্লাল হোসেন বলেন, কারখানা বন্ধ ঘোষনা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে বুধবার (০৬ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে আমার মোবাইলে ম্যাসেজ আসে, বিল্লাল ৬ নভেম্বর থেকে আপনাকে চাকরি থেকে অবসান করা হলো। আপনার সমুদয় পাওনাদি কারখানার হিসাব শাখা  হতে দেয়া হবে।

ছাঁটাইকৃত শ্রমিক ফেরদৌসী আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, কারখানায় হামলা ভাংচুর হয়ে থাকলে আমাদের কি দোষ। আমরা চাকরি ফিরে চাই। আমরা কাজ করতে চাই। কোনো ঝামেলা চাই না।

তুসুকা গ্রুপের পরিচালক তারেক হাসান বলেন, কারখানায় মারামারি ও ভাংচুরের অভিযোগে শ্রম আইন মেনেই ২৩৯ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাদের সকল পাওনাদি শ্রম আইন অনুযায়ী পরিশোধ করা হবে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব বলেন, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের খবর পেয়ে কোনাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ গোয়েন্দা নজরদারিও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ নভেম্বর শ্রমিক আন্দোলনের কারণে কর্তৃপক্ষ ৩ নভেম্বর থেকে ৬টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

এনজে