সিনেমাকে হার মানানো থ্রিলার
প্রকাশ: ২০১৫-০৯-২১ ১৯:৫৪:১৯
সাভারের জিরানি এলাকার একটি পেট্রল পাম্প থেকে সূচনা। ওখান থেকে যাত্রীবেশে বাসে উঠে কৌশলে বাসের ড্রাইভারসহ চার কন্ডাক্টর হেলপারের হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। তারপর যাত্রীদের আটকিয়ে ঢাকা-জামালপুর রোডের বাসটিকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা-ভৈরব রোড হয়ে কিশোরগঞ্জের পুলেরঘাট এলাকার দিকে। আসার পথে তারা সার্ভিস বাসের মতো বিভিন্ন স্টপেজে যাত্রীও তোলে। বাসে যাত্রীদের উঠিয়ে তাদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে তারপর তাদের আবার দু-এক স্টপেজ পরে নামিয়ে দেয়া হয়। এভাবে সাভার থেকে ভৈরব হয়ে পুলেরঘাট আসার পথে শতাধিক যাত্রীর কাছ থেকে ডাকাতি করে সবকিছু লুঠ করা হয়। শেষে বাজিতপুরের পিরিজপুর থেকে ৩জন এবং কটিয়াদী থেকে ২ জন যাত্রী তুলে অস্ত্রের মুখে তাদেরও টাকা-পয়সা কেড়ে নেয়া হয়। পরে পুলেরঘাট এলাকায় একজন যাত্রীর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে গিয়ে বাসটি আটক করে। পরে ড্রাইভার কন্ডাক্টটরসহ যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।
সিনেমাতে যে ঘটনা না ঘটে এমনই ঘটনা ঘটেছে রোববার রাত ১১টা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত। পাকুন্দিয়া থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে সাভারের জিরানী এলাকার একটি পাম্পের কাছ থেকে ঢাকা-জামালপুরগামী ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩৪০৮ নম্বরের ‘মা বাবার দোয়া’ নামের বাসটিকে ছিনতাই করা হয়। পরে এটিকে কিশোরগঞ্জের দিকে নিয়ে আসা হয়। পথে পথে এভাবে ডাকাতি করতে করতে বাসটিকে এতদূর নিয়ে আসাটা একটা আশ্চর্যের ব্যাপার।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে বাসটি পাকুন্দিয়ার পুলেরঘাট এলাকা অতিক্রম করার সময় বাসের এক যাত্রী ডাকাত বলে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এগিয়ে গিয়ে বাসটিকে আটক করে। খবর পেয়ে সেখানে ডিউটিরত আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ বাসটি থেকে জিম্মি করা ৫ জন যাত্রী এবং বাসের চালক বাশার, সুপারভাইজার জিহাদ মিয়া শাহীন এবং দুই হেলপার আতাউর রহমান ও আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে।
এ সময় জনতার হাতে মিরাজ (২৫) নামে ডাকাতদলের আটক এক সদস্যকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ সময় ডাকাত দলের অন্য ৬জন পালিয়ে যায়।
আটককৃত ডাকাতদলের সদস্য মিরাজ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পানতি গ্রামের কাবিল উদ্দিন খাঁর ছেলে। তিনি সাভার এলাকায় বসবাস করেন বলে ওসি জানান।