বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হলো ‘অপরচুনিটিস ইন অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি জব রুটস অ্যান্ড প্রিপারেশন’ শীর্ষক সেমিনার

---

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো ‘অপরচুনিটিস ইন অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি জব রুটস অ্যান্ড প্রিপারেশন’ শীর্ষক সেমিনার। বুটেক্স বিজনেস ক্লাব ও টপ জবসের সহযোগিতায় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ২টায় বুটেক্সের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারের মূল বিষয় ছিল শিক্ষার্থীরা কীভাবে চাকরির বাজারে নিজেকে যোগ্য করে তুলবে এবং সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করবে। তাছাড়া চাকরি খোঁজা থেকে শুরু করে, সুযোগগুলো কীভাবে তারা কাজে লাগাতে পারে সে সম্পর্কেও সম্যক ধারণা পায় শিক্ষার্থীরা উক্ত সেমিনারে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: জুলহাস উদ্দিন। তাছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে এএনকেও সোর্সিং, কেমার্ট অ্যান্ড টার্গেট অস্ট্রেলিয়া-এর কান্ট্রি এইচআর লিড ও পিপল অ্যান্ড ক্যাপাবিলিটি ম্যানেজার শোভন রফিক শুভ, নেক্সট সোর্সিং সার্ভিসেস লিমিটেড-এর হেড অব এইচআর সুলতানা শাকিলা মান্নান এবং পুমা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-এর কান্ট্রি ম্যানেজার মুইন হায়দার চৌধুরি উপস্থিত ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন বুটেক্স বিজনেস ক্লাবের সদস্য রামিসা হক চৌধুরি।

প্রধান বক্তা সুলতানা শাকিলা মান্নান উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন। তিনি বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে প্রথমত যেটা দেখা উচিত তা হলো কোম্পানির সংস্কৃতি এবং ওই কোম্পানির মূল প্রতিযোগী কারা। তাছাড়া সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে নিজের সম্পর্কে জানাটা জরুরি। কেন এই সেক্টরে যেতে চাই তা জানা, নিজের শক্তি এবং দুর্বলতার দিক কোনগুলো এবং সক্রিয়ভাবে কথা শোনার অভ্যাস ইত্যাদি।

পরবর্তীতে চৌধুরি শোভন রফিক শুভ তার বক্তব্যে বলেন, প্রত্যেককে সঠিক কর্মজীবনের পথ বেছে নিতে হলে লক্ষ্যযুক্ত শিক্ষা এবং যোগাযোগ দক্ষতার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। জ্ঞান এবং উপস্থাপন দক্ষতা বাড়াতে হবে। এছাড়া ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিংয়ের দিকেও নজর দিতে হবে। রেজুমে (সিভি) তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কোনো ধরনের ওয়েবসাইটের ফরম্যাট ব্যবহার না করে নিজ থেকে গুছিয়ে সিভি তৈরি করতে হবে। যা চাকরি বাজারে অন্যদের থেকে আপনাদের এগিয়ে রাখবে।

অনুষ্ঠানের আরেকজন প্রধান বক্তা মইন হায়দার চৌধুরি বলেন, আমার কলেজ জীবন থেকেই বুটেক্স শিক্ষার্থীদের একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিতাম। চাকরি জীবনে ইতিবাচক মনোভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কর্মজীবনে ভালো করা অনেকাংশে এর উপর নির্ভর করে। পেশাগত জীবনের কাজের প্রতি নিজের খারাপ লাগাগুলোকে আবেগগতভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সফলতা আসবে।

শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: জুলহাস উদ্দিন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আমি মার্চেন্ডাইজার হিসাবে ১৮ মাস চাকরি করেছি এবং এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের দক্ষতাগুলো বাড়িয়ে নিলে খুব তাড়াতাড়ি উচ্চতর পদগুলোতে যাওয়া সম্ভব। টেক্সটাইল সেক্টরে নিজের পদোন্নতি ঘটানোর মূল উপায় হলো নিজের পছন্দের কাজ সম্পর্কে নিশ্চিত থাকা এবং ইতিবাচক মনোভাব নিজে কাজ করা।

অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে উপস্থিত সকলের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে বিকাল ৫টায় সেমিনারটি শেষ হয়।