বাসাইলে হত্যা মামলায় চাচি-ভাতিজার যাবজ্জীবন
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২৪-১১-১৯ ১৬:১৫:৩৪
টাঙ্গাইলের বাসাইলে ঝর্ণা রানী দাস নামের এক নারীকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রাখার দায়ে চাচি-ভাতিজাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দণ্ডিত প্রত্যেককে ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আফরোজা বেগম এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- বাসাইল উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের শাহাদত বেপারীর স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার (৩০) এবং মজিবর বেপারীর ছেলে উজ্জ্বল ইসলাম (২৭)। তারা সম্পর্কে চাচি-ভাতিজা।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি শফিকুল ইসলাম রিপন জানান, ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর নিহত ঝর্না রানী পাওনা টাকা চাওয়ার জন্য একই এলাকার মনোয়ারা আক্তারের বাড়িতে যান। এ নিয়ে মনোয়ারার সঙ্গে ঝর্ণা রানী দাসের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় প্রতিবেশী ভাতিজা উজ্জ্বলকে সঙ্গে নিয়ে ঝর্ণা রানীকে মনোয়ারার ঘরের ভেতরে নিয়ে দুইজনে মিলে গলায় ফিতা পেঁচিয়ে এবং বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পরে নিহতের মরদেহ গুম করার জন্য মনোয়ারার ঘরের ভেতর মাটিতে পুতে রাখা হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর নিহতের স্বামী সুনীল কুমার দাস বাদী হয়ে বাসাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ মনোয়ারা বেগম ও তার ভাতিজা উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তাররা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত ও লাশ গুম করার জন্য মাটিতে পুতে রাখার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ মনোয়ারার ঘরে মাটিতে পুতে রাখা ঝর্ণা রানী দাসের মরদেহ উদ্ধার করে। রায় ঘোষণার পর বিচারক দণ্ডিত চাচি-ভাতিজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এম জি